নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের করোনা পরিস্থিতি

টাঙ্গাইলে নিয়মিতভাবে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। শুরুর দিকে এখানের করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত জুনের তুলনায় জুলাইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

টাঙ্গাইলে নিয়মিতভাবে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। শুরুর দিকে এখানের করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত জুনের তুলনায় জুলাইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা না করা, স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চলা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় তৎপরতা কমে যাওয়ায় জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোশারফ হোসেন জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ জেলা প্রশাসনের অনেক সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত আছে। মোবাইল কোর্টের অভিযানও চলমান আছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার পর্যন্ত জেলায় ১২টি উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন আছেন ৬১৮ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮২০ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫১০ জন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এবং সর্বনিম্ন ৩৪ জন বাসাইল উপজেলার।

সূত্র আরও জানায়, গত ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এপ্রিলে ২৪ জন, মেতে ১৪১ জন, জুনে ৪৪৭ জন এবং জুলাইয়ে (২৭ জুলাই পর্যন্ত) ৮৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় আরও ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহেদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

সদর উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল পৌরসভার একজন প্যানেল মেয়র এবং কয়েকজন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী আছেন। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে টাঙ্গাইল পৌরসভার মোট চারজন  কাউন্সিলর এবং ২১ জন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় পৌরসভার বেইজমেন্ট লকডাউন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আগামী সাতদিন দিন জরুরি সেবা ছাড়া অন্যান্য সব সেবা প্রদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পৌরসভা সূত্র জানায়, করোনা পরীক্ষার জন্য পৌরসভার আরও ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর চার মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য একটি পিসিআর ল্যাব এবং সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহেদুজ্জামাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলা শহরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং ঈদের পর তা চালু করা সম্ভব হবে। অপরদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ স্থাপনের কাজ চলমান আছে। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।’

তবে, কবে নাগাদ আইসিইউ চালু হবে এ ব্যাপরে কোন সময়সীমা উল্লেখ করতে পারেননি সিভিল সার্জন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago