কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে দেশে লবণের ঘাটতি নেই: বিসিক

দেশে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী কোরবানির পশু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কমবেশি এক লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হয়।
ছবি: সংগৃহীত

দেশে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী কোরবানির পশু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কমবেশি এক লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ঈদুল আজহায় কোরবানিকৃত পশুর সংখ্যার বিপরীতে লবণের চাহিদা ছিল ৮১ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন। ফলে মজুদকৃত লবণ দিয়ে এবারের ঈদুল আজহার চাহিদা মিটিয়ে আরও সাত থেকে আট মাসের লবণের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। এ ছাড়া, চার মাস পর, অর্থাৎ নভেম্বর থেকে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হবে। ফলে দেশে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিসিক।

শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিসিক জানিয়েছে, এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের আটটি লবণ জোনে ১৮৬টি নিবন্ধিত লবণ মিলে পুরোদমে লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় চারটি, নারায়ণগঞ্জে ৩৪টি, চাঁদপুরে দুইটি, চট্টগ্রামে ৫৭টি, পটিয়ায় ৩৪টি, কক্সবাজারে ৩৫টি, খুলনায় আটটি ও ঝালকাঠিতে ১২টি মিল চালু রয়েছে। চালু লবণ মিলগুলোর মাসিক গড় উৎপাদন ক্ষমতা তিন লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন হলেও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মিলগুলো লবণ উৎপাদন করে থাকে।

ঈদুল আজহায় সার্বিক লবণ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য বিসিক আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে। লবণ জোনগুলোতে অবস্থিত বিসিক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ে আলাদা কমিটি গঠন করে  তিন স্তরবিশিষ্ট মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছে বিসিক। এসব কমিটি মাঠ পর্যায়ে লবণের মজুদ, চলাচল ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত সংগ্রহ করে লবণের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ উপলক্ষে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লবণ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে তথ্যের জন্য ০২-৯৫৭৩৫০৫ অথবা ০১৯১১-৮৩৮২০০ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার মার্কেটিং কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ডিলার ও পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের মোবাইল নম্বরসহ তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ তালিকা ঈদের আগেই এতিমখানা, মাদ্রাসা, মসজিদ, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদসহ কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করা হবে। সুতরাং লবণ নিয়ে কোনো কারসাজির সুযোগ নেই বলে বিসিক মনে করে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago