লালমনিরহাটে বানভাসিদের সহায়তা দিলো ট্রাই ফাউন্ডেশন
দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলাপাড়ের বানভাসি দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজধানী ঢাকার ট্রাই ফাউন্ডেশন। নয়টি চরের ৮৫টি বানভাসি দুঃস্থ পরিবারের প্রত্যেকটিকে নগদ এক হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের দুই সদস্য সানাউল আরেফিন ও ফারুক আহমেদ।
গতকাল সোমবার রাতে চর সোনাইগাজী, চর যতীন্দ্রনারায়ন, চর ফলিমারী, চর খারুয়া, চর রাজপুর, মাঝের চর, চর কালমাটি, চর গোর্বধান ও চর নরসিংহে এসব বানভাসি পরিবারের কাছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
চর সোনাইগাজীর বানভাসি ফাতেমা বেগম (৬০) জানান, তিনি তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গত ২৫ দিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বাস করছেন। বাড়িতে এখনো বন্যার পানি রয়েছে। খাদ্য সংকটে থাকায় তাদেরকে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে। তার ভাগ্যে এখনো কোনো সরকারি সহায়তা জোটেনি।
ট্রাই ফাউন্ডেশনের দেওয়া নগদ এক হাজার টাকা পেয়ে খুশি হয়ে এই বানভাসি জানান, এই টাকায় ঈদের দিন পর্যন্ত ভালোভাবে চলতে পারবেন। খাবার অন্যভাবে জোটাতে পারলে তিনি এই টাকায় তার ছোট নাতনিকে ঈদে একটি জামাও কিনতে পারেন বলে জানান।
চর কালমাটির বানভাসি আফিয়া বেওয়া (৬৫) জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু, খাদ্য সংকটের কারণে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি ১০ কেজি চাল সহায়তা পেয়েছিলেন। কিন্তু, তা শেষ হয়ে গেছে।
ট্রাই ফাউন্ডেশনের দেওয়া নগদ এক হাজার টাকার অর্থ সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই টাকায় একটি শাড়ি ও খাবার কিনব। ঈদের আগে এই অর্থ সহায়তা আমার অনেক উপকারে লাগবে।’
ট্রাই ফাউন্ডেশনের সদস্য ফারুক আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে বানভাসিদের দুঃখ-দুর্দশার বিষয়ে জেনেছি। তাদের খুব খারাপ লাগে আমাদের। তাই কিছুসংখ্যক বানভাসি পরিবারের জন্য আমরা সামান্য সহায়তা দিয়েছি।’
দেশের সচ্ছল ও বিত্তশালী মানুষদের বানভাসি-দুঃস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
Comments