বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

মানিকগঞ্জে বিপৎসীমার ওপরে ৪ নদী, পানিবন্দি ৬ লাখ মানুষ

মানিকগঞ্জে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানি। ফলে, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের দিনমজুর মজিবর শেখ ও মিলি বেগমের বাড়ি গত ২০ দিন ধরে বন্যার পানির নিচে। পরিবারসহ আশ্রয় নিয়েছেন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে। ছবিটি গতকাল সোমবার তোলা। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ

মানিকগঞ্জে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানি। ফলে, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ের পানি পরিমাপক রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কালীগঙ্গা নদীর পানি তরা পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে ধলেশ্বরী নদীর পানি জাগীর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর পানি পরিমাপক বদর উদ্দিন। 

পানি পরিমাপক ফারুক হোসেন জানান, যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়েনি। আরিচা পয়েন্টে পানি পরিমাপ করে দেখা গেছে যমুনা পানি স্থির অবস্থা্য় রয়েছে। বর্তমানে তা বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা জানান, দীর্ঘমেয়াদী এ বন্যায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। জেলা ও দায়রা জজকোর্ট, পুলিশ লাইন্স, কারাগারসহ জেলাশহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস চত্বর পানিতে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাদ্য সংকট। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সরকাই-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে জানান বানভাসী মানুষেরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যাদুর্গত

এলাকায় ১০ হাজার পরিবারকে চাল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।  এছাড়াও, ঈদ সামনে রেখে ভিজিএফ কার্ডধারী ১ লাখ ৭ হাজার ৮৫৩ দুস্থ ব্যক্তিকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এসব ত্রাণ বিতরণ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের পক্ষ থেকে হরিরারমপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের তিনশ বন্যার্তকে সহায়তা পৌঁছে দেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।

Comments

The Daily Star  | English
No hartal and blockade on Sunday

No hartal and blockade on Sunday

BNP has refrained from calling any programmes on Sunday marking International Human Rights Day

3h ago