কোরিয়া থেকে কেনা হচ্ছে ১৫০টি মিটারগেজ কোচ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/railway_0.jpg?itok=CCuNxcUe×tamp=1596022041)
‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ বা কোচ সংগ্রহের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপির উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্পটির পরিচালক মো. হাসান মনসুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পসকো ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ম্যানেজার জং বুম লি।
এই ক্যারেজগুলো সরবরাহ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ কোম্পানি সুংশিন আরএসটি-পসকো ইন্টারন্যাশনাল। এর চুক্তি মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৬৫৮ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৬৩ টাকা ৯০ পয়সা।
প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচগুলো রেলওয়ে কাছে পৌঁছবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘দ. কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী দেশ। রেলওয়েসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করছে। এ কোচগুলো রেল বহরে যুক্ত হলে বেশি পরিমাণে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবে।’
কোচের মান চুক্তি অনুযায়ী ঠিক রাখার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানান তিনি।
স্টেইনলেস স্টিল বডি, বায়ো-টয়লেট সংযুক্ত, স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোরসহ অনেক আধুনিক সুবিধা এই যাত্রীবাহী ক্যারেজের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে যোগ করেন রেলমন্ত্রী।
১৫০টি কোচের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপিং বার্থ ৩০টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ৩৮টি, শোভন চেয়ার ৪৪টি, খাবার গাড়ীসহ শোভন চেয়ার কোচ ১৬টি, পাওয়ার গাড়ীসহ শোভন চেয়ার কোচ ১২টি, রাষ্ট্রীয় পরিদর্শনের জন্য বুলেটপ্রুফ কোচ একটি, খাবার গাড়ী একটি, পাওয়ার গাড়ী একটি এবং পরিদর্শন গাড়ী একটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে অতি পুরাতন ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ প্রতিস্থাপন এবং মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে যাত্রীবাহী ক্যারেজের স্বল্পতা দূর করা, উন্নতমানের আধুনিক ও নিরাপদ যাত্রীবাহী ক্যারেজের মাধ্যমে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা, বর্ধিত যাত্রী চাহিদা মিটানোর জন্য নতুন ট্রেন চালু করা, বাংলাদেশ রেলওয়েতে মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে নিরাপদ ও উন্নত ট্রেন পরিসেবা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা এবং ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিসেবা বৃদ্ধি করা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments