বিএসএমএমইউতে করোনা বিষয়ক গবেষণা ইউনিট চালু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত একটি গবেষণা ইউনিট চালু করা হয়েছে।
এই গবেষণার বিষয় হল নতুন উদ্ভাবিত নন ইনভেনসিভ ভেন্টিলেশন সিটেক্স ডব্লিউজি সেভেন সিপাপ ডিভাইস বা যন্ত্রটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কতটা কার্যকরী ও করোনায় আক্রান্ত রোগীদের থেকে কি পরিমাণ ভাইরাস বাইরে বের হয় তা নির্ণয় করা।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের অধ্যাপক সামাদ সেমিনার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে চালুকৃত গবেষণা ইউনিটের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বিএসএমএমইউ এর এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের হাইওয়েল দা ইউনিভার্সিটি হেলথ বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ গবেষণা কার্যক্রম চলবে।
উপাচার্য বলেন, ‘করোনাভাইরাসজনিত বিশ্ব মহামারি চলাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ কেবিন ব্লকের আইসিইউতে ৪টি বেড নিয়ে এই ইউনিট চালু করা হলো। এটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও সেবাদানকারী চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নব দিগন্ত উন্মোচন করবে।’
যেকোনো ভাইরাস সংক্রমণের পর ভাইরাল লোড ও ভাইরাসটির এগ্রেসিভনেসের উপর নির্ভর করে রোগীর জীবন কতটা সঙ্কটাপন্ন। এ সকল বিষয় নির্ণয়েও এই গবেষণা ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিএসএমএমইউ আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে ৫০ জন রোগীর উপর গবেষণা পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস বিষয়ে যেসকল গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তা সম্পন্ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এতে প্রধান গবেষক হলেন, এ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান। গবেষকদের মধ্যে আরও আছেন অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক কেয়ার লিউস, ডা. রিজ থমাস ও ডা. সোহেল মুসা মিঠু।
Comments