অর্থ কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করেছেন ট্রুডো
বহুজাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান উই চ্যারিটিকে কোটি ডলারের সরকারি চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পর্ক কোনো ভূমিকা রাখেনি বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিবিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডার পার্লামেন্টে ওই চুক্তির সিদ্ধান্তে নিজের কিংবা কর্মীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করেন ট্রুডো।
ট্রুডো ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে কানাডার ফেডারেল এথিকস ওয়াচডগ।
অটোয়ার ফিন্যান্স কমিটিকে তিনি জানান, শিক্ষার্থী কর্মশালাবিষয়ক প্রোগ্রামের জন্য উই চ্যারিটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস স্বাধীনভাবে নিয়েছে।
ট্রুডোর দাবি, গত মে মাসের শুরুর দিকেই পাবলিক সার্ভিস ওই কর্মসূচিকে সুপারিশ করার কথা প্রথম জানতে পারেন তিনি।
তিনি জানান, ‘তাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে ওই চুক্তি ও সুপারিশ নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হবে তা আমি জানতাম।’
তাই, তিনি আমলাদেরকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে ও সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে বলেন।
তার দাবি, এর দুই সপ্তাহ পর তাকে জানানো হয় যে, উই চ্যারিটিই একমাত্র সংস্থা, যা এই প্রোগ্রামটি পরিচালনা করতে পারে।
হাউজ অব কমনসে ট্রুডো বলেন, ‘আমার কিংবা অন্য কারো কাছ থেকেই উই চ্যারিটি কোনো ধরনের পক্ষপাতী আচরণ পায়নি।’
এর আগে দাতব্য সংস্থা উই চ্যারিটির দাবি, ২০১৭-১৮ সালে বিভিন্ন দাতব্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ট্রুডোর মা ও ভাইকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার কানাডিয়ান ডলারেরও বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও উই চ্যারিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডোকে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে একটি সহায়তা কর্মসূচির জন্য উই চ্যারিটিকে সুপারিশ করে কানাডার সিভিল সার্ভিস। ৫০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের ওই কর্মসূচি পরিচালনার জন্য একমাত্র সংস্থা হিসেবে উই চ্যারিটিকেই সুপারিশ করা হয়।
বিতর্কের মুখে গত ২ জুলাই চুক্তিটি বাতিল হয়।
এছাড়াও ফেডারেল অর্থমন্ত্রী বিল মরনিউয়ের পরিবারের সঙ্গেও উই চ্যারিটির সুসম্পর্ক আছে বলে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়।
Comments