নারায়ণগঞ্জ সিটির ৭০ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় কোরবানির ৭০ শতাংশ বর্জ্য ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাতটা থেকে করপোরেশনের ১ হাজার ৭০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নগরীর তিনটি অঞ্চল শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টা থেকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে প্রথমে ব্লিচিং পাউডার ও সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে, পরে জীবাণুনাশক ক্লোরিন পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। নগরীর কোথাও রক্তের দাগও নেই। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। আশা করছি আগামীকাল দুপুরের মধ্যে শতভাগ পরিষ্কার করতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও যদি কোথাও ময়লা জমে, তাহলে আমাদের জানালে আমরা দ্রুত সেগুলো পরিষ্কার করে দিবো। এখন নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আজ বিকেলে সরেজমিনে নগরীর খানপুর, চাষাঢ়া, আমলাপাড়া, টানবাজার, মিনাবাজার, উকিলপাড়া, গলাচিপা, কলেজ রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কোথাও কোনো কোরবানির বর্জ্য জমে থাকতে দেখা যায়নি। সিটি করপোরেশনকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জীবাণুনাশক ক্লোরিন পানি, ব্লিচিং ও সাবান পানি ছিটাতে দেখা গেছে। তবে, চাষাঢ়া এলাকায় অস্থায়ী চামড়ার বাজারে মাংস ও রক্তের দাগ দেখা যায় এবং সেখান থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা মহসিন মিয়া আজ সন্ধ্যায় জানান, এক বছর আগেও এ সময় কোরবানির বর্জ্যের দুর্গন্ধে নাক-মুখ চেপে হাঁটতে হতো। কিন্তু, এবার সন্ধ্যার মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে গেছে। কোথাও রক্তের দাগও নেই।
তিনি বলেন, ‘যারা কোরবানি দেবেন তাদেরকে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ গতকাল কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে যায়। আজ সকালে কোরবানির পর বর্জ্য সেই ব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেই। বেলা ১২টার মধ্যে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সেগুলো নিয়ে গেছে।’
উকিলপাড়া এলাকার পলাশ ঘোষ বলেন, ‘বেলা ১১টায় আমাদের বাসার সামনে কোরবানির বর্জ্য জমে ছিল। কাউন্সিলরকে ফোন দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বর্জ্য নিয়ে গিয়ে ধুয়ে দেয়।’
মিনাবাজার এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুপুরে মধ্যেই আমাদের এলাকার ময়লা আবর্জনা সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এসে নিয়ে যায়। তাছাড়া, বিকেলে যারা কোরবানি দিয়েছে কাউন্সিলরকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।’
কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘কোরবানির বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করতে একদিন আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সবাইকে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়েছি। আজ সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা ৮০ ভাগ বর্জ্য পরিষ্কার করে ফেলেছি।’
সন্ধ্যায় অনেকে কোরবানি দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেগুলো রাতেই পরিষ্কার করা হবে। আর, আগামীকালও কেউ কেউ কোরবানি দিবেন। আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে ১০০ ভাগ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
Comments