নাটোর

আড়তেই ছাগলের চামড়া ফেলে গেলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

Natore_Lather_2Aug20.jpg
আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে না পেরে ছাগলের চামড়া ফেলে গেলেন অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী। ছবি: স্টার

আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে না পেরে ছাগলের চামড়া ফেলে গেলেন অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী। নাটোর শহরের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আড়তের পেছনে অনেককে চামড়া পুঁতে ফেলতে দেখা গেছে। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, বিক্রি করতে না পারায় এ বছর কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে।

প্রতি পিস ২০ টাকা দরে মোট আড়াই হাজার পিস খাসির চামড়া কিনেছিলেন ফজলুর রহমান। আড়তদাররা ১০ টাকার বেশি দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এমনিতেই আড়তদাররা অর্ধেক দাম বলছেন, লবণ দিলে খরচ আরও বেড়ে যেতো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রায় ৬০ শতাংশ খাসির চামড়া ফেলে গেছেন।’

শাহীন হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দাম কম থাকায় অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী লবণের খরচে যাননি। যে কারণে অনেক চামড়া পচে গেছে।’

নাটোরের আড়তদার মামুন হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী জেলায় চামড়া কেনার লোক নেই। স্তূপাকারে চামড়া পড়ে আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। নাটোরের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে চামড়া কিনছেন। এগুলো বিক্রি হবে কি না সেটাও প্রশ্ন।’

রাজশাহীর আমদানি ও রপ্তানি অধিদপ্তরের যুগ্ম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর চামড়ার বাজার ঠিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে। কাঁচা চামড়া রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে সরকার। এতে ট্যানারি মালিকদের ওপর ব্যবসায়ীদের নির্ভরশীলতা কমবে।’

নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নাটোরের ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন। এ বছর নাটোরে প্রায় আট থেকে ১০ লাখ ছাগল-খাসির চামড়া কেনা হয়েছে। এ ছাড়া, পাঁচ থেকে সাত লাখ গরুর চামড়া, এক লাখ মহিষের চামড়া এবং এক লাখ পিস ভেড়ার চামড়া কেনার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপ। আশা করা যাচ্ছে, প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago