বাউফলে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
পটুয়াখালীর বাউফলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত দুজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সকালে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
নিহত রাকিব উদ্দিন রুমন তালুকদার (৩৩) ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি এবং রিয়াদ হোসেন ইশাত (২৪) ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু এই হামলার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত এবং আমি ও আমার ভাই এসবের প্রতিবাদ করায় মহিউদ্দিন তার লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন লাভলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. মোতলেব হাওলাদার বলেন, ‘ওই ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অধিপত্য বিস্তার ও আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আমরা এ দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নিয়েও সফল হইনি। তবে এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আখতারুজ্জান বলেন, ‘ওই দুজনকে রাত পৌনে ৯ টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নিশাতের মৃত্যু হয়। অপর দিকে রাত নয়টার দিকে রুমনের মৃত্যু হয়। উভয়ের শরীরে ধারালে অস্ত্রের আঘাতসহ লাঠির আঘাত পাওয়া গেছে।
Comments