৮ অগাস্ট থেকে পুনরায় শুরু ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে গেল মাসে দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে খেলোয়াড়দের একক অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পর্বের সফল সমাপ্তির পর আশা করা হচ্ছে যে, আরও অনেক ক্রিকেটার আগামী ৮ অগাস্ট থেকে মাঠে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী। অর্থাৎ অধিক সংখ্যক খেলোয়াড়দের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে বোর্ডকে।
বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বিসিবি হাই-পারফরম্যান্স দলের আগামী অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর দিয়ে চার মাসেরও বেশি সময় ঘরে বসে থাকার পর পুনরায় খেলা শুরু করতে পারেন ক্রিকেটাররা। কারণ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে গেল মার্চ মাসে দেশের সমস্ত ক্রিকেটীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গেল মাসে আমরা যেভাবে করেছিলাম ঠিক একইভাবে একক অনুশীলন সেশন (৮ অগাস্ট) শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এবার আমরা আরও বেশি ক্রিকেটার প্রত্যাশা করছি। প্রথম পর্বে যেমন ছিল, তেমনই হবে। তবে ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাপোর্ট স্টাফও বাড়াতে হবে এবং (সুরক্ষা নিশ্চিত করার) ব্যবস্থাগুলো আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।’
যদিও ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, তবে দলগত অনুশীলন শুরু করার আগে আরও বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন দেবাশীষ, ‘যদি আমরা দলীয় অনুশীলন সেশন শুরু করতে চাই, তাহলে আমাদের একেবারে আলাদা পরিকল্পনা ও সেট-আপ নিয়ে এগোতে হবে। আমাদের একটি বায়ো-বাবল তৈরি করতে হবে এবং অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্টসহ স্কোয়াডকে একটি হোটেলে আইসোলেশনে রাখতে হবে।’
তবে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘আগামী অক্টোবরের সম্ভাব্য শ্রীলঙ্কা সফরকে মাথায় রেখে এখনই এমন কিছু চালু করে দেওয়া মানে ক্রিকেটারদের প্রায় তিন মাস বাসা থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিলে এটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় দল রাজধানী ঢাকাতে অনুশীলন না-ও করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে যে, দেশ ছাড়ার আগেই কেবল তারা একত্রিত হবে এবং দীর্ঘ সময় পর শ্রীলঙ্কার মাটিতেই তাদের প্রথম দলীয় অনুশীলন সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
Comments