চীন-ভারত দ্বন্দ্ব: সরে যাচ্ছে আইপিএলের ‘চীনা টাইটেল স্পন্সর’

গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে চরম খারাপ অবস্থায় চীন-ভারতের সম্পর্ক। ভারত জুড়ে এরমধ্যেই শুরু হয়েছে চীনা পণ্য বর্জন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর টাইটেল স্পন্সরই ছিল চীনা মোবাইলফোন প্রস্ততকারক 'ভিভো'। ভিভো আইপিএলের স্পন্সর থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় প্রতিবাদ। এই শোরগোলের মধ্যেই স্পন্সরশীপ থেকে সরে যাচ্ছে কোম্পানিটি।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, এই মৌসুমের আইপিএল টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ভিভো থাকছে না। 

ভিভো সরে দাঁড়ালে টুর্নামেন্টের মাসখানেক আগে স্পন্সর নিয়ে একটা সমস্যায় পড়ে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে অবশ্য চীন-ভারত সম্পর্ককে প্রথমেই টানেনি ভিভো।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ব্যবসা মন্দা দেখিয়ে বিসিসিআইকে ১৩০ কোটি টাকা কম দিতে চেয়েছিল ভিভো। কিন্তু তাতে রাজী হয়নি বিসিসিআই। দুই পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় আপাতত এই মৌসুমে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে চীনা কোম্পানি।

করোনা মহামারিরি মধ্যেই গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই চীনা পণ্য বর্জনের ডাক পড়ে ভারতে। ভারতে নিষিদ্ধ করা হয় চীনা অ্যাপ 'টিকটক'।

আইপিএল থেকেও ভিভোকে বাদ দেওয়ার আওয়াজ তুলেন দেশটির বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে ভিভোকে নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি বিসিসিআই।

২০১৭ সালে চীনা এই কোম্পানির সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করে বিসিসিআই। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বোর্ডকে প্রতি মৌসুমে ৪৪০ কোটি রুপি দেওয়ার কথা তাদের।

ভিভো সরে দাঁড়ালে আগামী তিন দিনের মধ্যে নতুন স্পন্সর চেয়ে টেন্ডার ডাকা হতে পারে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

Comments

The Daily Star  | English
anti terrorism law amendment approved

Advisory council clears anti-terrorism law amendement

Draft includes provision to ban an entity's activities, restrict terrorism-related content online

2h ago