জাতীয় দলের কথা ভেবেই আইপিএলে আগ্রহী নন স্টার্ক

mitchell starc
মিচেল স্টার্ক। ছবি: এএফপি

মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিকের মোহে আইপিএলের জন্য অনেকে জাতীয় দলের খেলা থেকেও বাঁচতে পারলে যেন খুশি। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক সেখানে জাতীয় দলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন দূরে।

পেস, স্যুয়িংয়ের মুন্সিয়ানায় বিশ্ব ক্রিকেটে বড় তারকা বাঁহাতি স্টার্ক। সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য সব নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। আইপিএলে স্বাভাবিক কারণেই অনেক কদর থাকার কথা তার। কিন্তু গত আইপিএলের নিলাম থেকে স্বেচ্ছায় নিজের নাম সরিয়ে নেন তিনি।

এর পেছনে যুক্তি দীর্ঘ ক্রিকেট মৌসুমের পর নিজেকে একটু বিশ্রাম দেওয়া। তৈরি জাতীয় দলের পরবর্তী খেলার জন্য। তবে স্টার্ক যখন আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়েছেন, তখন আইপিএল হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসে। সেটা পিছিয়ে এখন সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে হচ্ছে।

নিলামে না থাকলেও যেকারো বদলি হিসেবে আইপিএলে ঢুকে যাওয়া সহজ তার কাছে। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে স্টার্ক জানালেন, তিনি অনড় আছেন তার আগের অবস্থানেই,  ‘আইপিএল দারুণ এক আসর, এটা জানা আছে আমার। এখন এটা আয়োজনের সময়ও বদলেছে, তবে নাহ আমার ভাবনা বদলেনি। সেপ্টেম্বর অন্যরা যখন আইপিএল খেলবে, আমি পরের গ্রীষ্মের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই, এটা করতে পারলেই খুশি থাকব।’

স্টার্ক আইপিএলে খেলেছেন দুই মৌসুম। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ২৭ ম্যাচে নেন ৩৪ উইকেট। ৭.১৬ গড়ে ওভারপ্রতি রান দেওয়ার পাশাপাশি কার্যকর ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নেওয়ায়। তবে এরপর জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিতে আইপিএলে আর আগ্রহী হননি তিনি। এবারও জানালেন, তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধকল সামলে ক্লান্ত না থাকলে তবেই আগামীতে খেলতে চান আইপিএলে,  ‘আইপিএল পরের বছরও হবে। তখন যদি তাগিদ পাই, তাদের যদি আগ্রহ থাকে আমার উপর তাহলে বিবেচনা করব। কিন্তু এই বছরের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি, আর এতেই আমি সন্তুষ্ট।’

 স্টার্ক আইপিএল খেলেছেন স্রেফ দুবার, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে। দুবারই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। পারফরম্যান্সও বেশ ভালো ছিল, ২৭ ম্যাচে ৩৪ উইকেট নিয়েছিলেন ওভারপ্রতি ৭.১৬ রান দিয়ে। এই দলের হয়ে খেলার কথা ছিল ২০১৭ সালেও। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়ার জন্য সেবার সরিয়ে নেন নিজেকে। ২০১৮ আইপিএলের জন্য তাকে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি রুপিতে দলে টেনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি চোটের কারণে।

Comments

The Daily Star  | English
DGFI involvement in enforced disappearances

2 years lost, life shattered

He was around 15 when he was picked up, a ninth grader.

9h ago