সিলেটে বোমা-সদৃশ বস্তু ঘিরে আতঙ্ক

২১ ঘণ্টা পর জানা গেল বোমা নয়, গ্রাইন্ডিং মেশিন

সিলেটে পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে বাধা বোমা-সদৃশ বস্তু ঘিরে আতঙ্কের ২১ ঘণ্টা পর জানা গেল বস্তুটি বোমা নয়। বস্তুটি হলো গ্রাইন্ডিং মেশিন যা লোহাজাত জিনিস কাটতে ব্যবহার করা হয়।
পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে বাধা বোমা-সদৃশ বস্তু। ছবি: শেখ নাসের

সিলেটে পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে বাধা বোমা-সদৃশ বস্তু ঘিরে আতঙ্কের ২১ ঘণ্টা পর জানা গেল বস্তুটি বোমা নয়। বস্তুটি হলো গ্রাইন্ডিং মেশিন যা লোহাজাত জিনিস কাটতে ব্যবহার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও ধ্বংসকরণ দলের পর্যবেক্ষণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাহাত।

তিনি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার সময় একজন পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে একটি অবজেক্ট বা সাসকেপ্টেড বস্তুটি পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় পুলিশ তা কর্ডন করে রাখে। পরে পুলিশ সেনাবাহিনীকে জিনিসটি পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানালে সেনা সদরদপ্তরের নির্দেশনায় ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ এবং ধ্বংসকরণ টিম আজ ঘটনাস্থলে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ টিমে বোমা বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ, আমি, ক্যাপ্টেন নুর, ক্যাপ্টেন গালিবসহ অন্যান্যরা এক্সপার্টরা ছিলেন। আমরা আসার পর বস্তুটি নিষ্ক্রিয়করণ করার জন্য খুলেছি। আসলে এটি বোমা ছিল না, এটি গ্রাইন্ডিং মেশিন।’

বোমা-সদৃশ বস্তুটি ঘিরে রাখে পুলিশ। ছবি: শেখ নাসের

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিষয়টিকে দুদিক দিয়ে ভাবতে পারি। ভুলবশত কেউ এটা রাখতে পারে বা যেহেতু পুলিশের মোটরসাইকেল, তাই আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যও কেউ রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘নগরীতে আমাদের সিসি ক্যামেরা আছে। আমরা ইতিমধ্যে ভেতরে ভেতরে তদন্ত শুরু করেছি। সামনের দিনগুলোতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল ৬টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইড়ু নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে মোটরসাইকেলটি পার্ক করে পাশের চশমার দোকানে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখতে পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে পুলিশ সন্ধ্যা ৭টা থেকে চৌহাট্টা এলাকা কর্ডন করে রাখে।

আরও পড়ুন:

সিলেটে বোমাসদৃশ বস্তু ঘিরে রেখেছে পুলিশ

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago