ভারত সীমান্তের কাছে বিতর্কিত এলাকায় হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে নেপাল

ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছে বিতর্কিত জায়গায় হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে নেপাল। ছবি সৌজন্য: হিন্দুস্তান টাইমস

ভারত সীমান্তের কাছে বিহারের পশ্চিম চম্পারান জেলায় একটি বিতর্কিত জায়গায় হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজ শুরু করেছে নেপাল।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রশাসন ওই এলাকাটি যাচাইয়ের আগেই নির্মাণকাজ শুরু করেছে নেপাল।

প্রস্তাবিত ওই হেলিপ্যাডটি চম্পারান জেলার বেলটিয়া থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভের (ভিটিআর) কাছে নেপালের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সশস্ত্র সীমাবলের (এসএসবি) থারি সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে কিছুটা দূরে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি।

সশস্ত্র সীমাবল ব্যাটেলিয়ানের কমান্ড্যান্ট রাজেন্দ্র ভরদ্বাজ বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি, ইন্দো-নেপাল সীমান্তের কাছে ছোট হেলিকপ্টারের জন্য একটি হেলিপ্যাড তৈরির কাজ কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে।’

গত ৪ আগস্ট ভারত-নেপাল সীমান্তের একটি বিতর্কিত জমিতে কোনো অনুমতিপত্র ছাড়াই হেলিপ্যাডের নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্দুস্তান টাইমস।

নেপাল-ভারত সীমান্তে নরসাহী গ্রামকে ঘিরে বির্তকের জন্য গন্ডাক নদীর পরিবর্তনশীল গতিকে দায়ী করেন নেপালের কর্মকর্তারা।

এসএসবি কর্মকর্তারা জানান, গন্ডাক নদীর মাঝ বরাবর নেপাল ও ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা। তবে, ১৯৭০ এর দশকে নদীটির গতিপথ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নরসাহি গ্রামটিও নদীর ওপারে স্থানান্তরিত হয়। পরে সেখানে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকরা ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে যান।

হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে আসা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, একটি কৃষি জমির কাছাকাছি জায়গায় চারপাশে হলুদ সীমানা দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে হেলিপ্যাড। সেখানে ইট ও পানির ট্যাঙ্ক দেখা গেছে। লোহার রডের টুকরো ও ভেজা মাটি দেখে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

সম্প্রতি নেপাল উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ, কালাপানী ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশের পর ভারত ও নেপালের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপরই সীমান্ত এলাকায় এমন নির্মাণকাজ শুরু করল নেপাল।

ভারত-নেপাল সীমান্তে আরও দুটি হেলিপ্যাডের নির্মাণের পরিকল্পনা আছে নেপালের। এর মধ্যে একটি বাল্মীকিনগর (নেপালের পশ্চিম চম্পারান) ও অন্যটি উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত এলাকা উজ্জয়িনীতে (নেপালের নাওয়ালপারাসি জেলায়)।

সীমান্ত অঞ্চলে কর্মরত বিহারের সীমা জাগরণ মঞ্চের সভাপতি মহেশ আগারওয়াল বলেন, ‘কেপি শর্মা অলির মুষ্টিমেয় কিছু সমর্থক আমাদেরকে উস্কে দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেপালীদের একটি বড় অংশ আমাদের সঙ্গে তাদের পুরোনো সম্পর্ক রক্ষার পক্ষে। এখন নয়াদিল্লির উচিত নীরবতা ভেঙে প্রয়োজনীয় কাজ করা।’

Comments

The Daily Star  | English
Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

13h ago