২০৫০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে: দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আয়োজনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিপ্লব উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের একান্ত সঙ্গী হয়ে যাবে প্রযুক্তি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এই শিল্প বিপ্লবের ফলে গতানুগতিক অনেক চাকরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আবার চাকরি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।’

এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় পরিণত করতে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জীবনব্যাপী শেখাই হবে আমাদের প্রধান দক্ষতা।’

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের জনশক্তিকে প্রয়োজনে রিস্কিলিং ও আপস্কিলিং করার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য আমরা বিভিন্ন রকম শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি।’

মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে ইনকাম বৈষম্য তৈরি হবে। কিছু লোক অল্প সময়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে অনেক আয় করবে। অন্যদিকে কিছু লোক দীর্ঘসময় পরিশ্রম করেও কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করবে।’

তাই শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

9h ago