ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ২৫টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ও আজ সকালে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশকে লাঠিপেটা করতে হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষের সময় কিছু বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন আহম্মেদের সাথে বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সদস্য মো. আব্দুস সামাদের বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে তালমা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ফিরোজ খান আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদের গ্রুপকে সমর্থন দেন।
জানা যায়, গতকাল বিকেলে মানিকদী গ্রামে আব্দুস সামাদের সমর্থকদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান ফিরোজ খান। এ ঘটনায় ফিরোজ খানের সমর্থকরা কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে নগরকান্দা থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার জেরে আজ সকাল ৯টার দিকে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর ফিরোজ খানের সমর্থকরা বেশ কিছু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সামাদ।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা সংখ্যায় দুইশ থেকে আড়াইশ এর মতো ছিল। তাদের তুলনায় পুলিশ কম থাকায় পুলিশ চেষ্টা করেও এ ভাঙচুর ঠেকাতে পারেনি।
ফিরোজ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে প্রতিপক্ষ আমাদের কয়েকজন সমর্থককে মারধর করে। গতকাল সকালেও মারপিট করে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হন।
তিনি বলেন, আমাদের সমর্থকরা পাল্টা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, এ সময় আমাদের কয়েকজন সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন নগরকান্দা থানার পরিদর্শক মিরাজ হোসেন।
Comments