মেয়াদের আগে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায় ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর: কাদের

সড়ক নির্মাণে গুণগতমান বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার আগে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে প্রকৌশলীদের তদারকি আরও নিবিড় হতে হবে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
মন্ত্রী আজ সোমবার সকালে নিজ বাসভবন থেকে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে মনিটরিং ক্যাপাসিটি এবং কর্মদক্ষতা বিবেচনায় আনা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। অহেতুক বিলম্ব নির্মাণকাজের খরচ বাড়িয়ে তোলে।’
যে সব ঠিকাদার সময়মত কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এসময় মন্ত্রী হাওর এলাকা বিশেষ করে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এলাকায় বিশেষ ধরণের সড়ক নির্মাণে সফলতার জন্য সড়ক প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে হাওর এলাকার অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যেতে শুরু করেছে।’
এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার, হয়রানি করছে না। অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। নানান অপরাধের কারণে সরকার নিজ দলের নেতা-কর্মীদেরও ছাড় দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের মাটি বীরের বীরত্মগাঁথায় সমুজ্জ্বল, আবার বিশ্বাসঘাতকতার নজিরও এখানে অনেক। এখানে দেশপ্রেমের যেমন বিরল দৃষ্টান্ত আছে, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রের গন্ধও আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পনেরো আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এসেছে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। যারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে গ্রেনেড হামলাকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল, পনেরো আগস্টের খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল সে অশুভ চক্রের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যের মাঝে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসানসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
Comments