সিলেটে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলা

সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মোকাব্বির খান। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যাওয়ার সময় ঘটা এ হামলার ঘটনায় সংসদ সদস্যকে বহনকারী গাড়ির কাঁচ ভাঙলেও তার কোন ক্ষতি হয়নি বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা।

সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে উপজেলা কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় দুজন আওয়ামী লীগ কর্মী শামীম আহমদ ও সিরাজের সাথে বেশ কিছু মানুষের ভিড় দেখি। এ ভিড় থেকে আমার গাড়ির উপর ঢিল ছোড়া হয়, এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

এদিকে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা সকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা।

বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. নুনু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ আমার জন্মদিন ছিল। শোকের মাসে জন্মদিন বলে তা পালন করি না সাধারণত, তবে দলীয় কিছু নেতাকর্মী শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন উপজেলা পরিষদে।’

তিনি বলেন, ‘যখন হামলার ঘটনা ঘটে, তখন আমি আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পংকি খান যখন তার বক্তব্যে এ হামলার প্রতিবাদ জানান, তখন জানতে পেরে আমি বাইরে গিয়ে সংসদ সদস্যের গাড়ির কাঁচ ভাঙার বিষয়টি জানতে পারি। হামলাকারী আওয়ামী লীগ বা বহিরাগত বা অন্য দল থেকে সদ্য আসা আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া কেউ হতে পারে। তবে যেই হোক, তাদেরকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিত’।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যদিও হামলার ঘটনাটি বড় নয়, তবুও একজন সংসদ সদস্যের গাড়িতে হামলা হয়েছে। হামলাকারীর পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি এবং গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

তবে এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন,‘আমার কণ্ঠরোধ করলেও হুমকি প্রদর্শনের জন্যই এ হামলা হয়েছে। আমার নিরাপত্তায় পুলিশ প্রটোকল ছিল। যখন হামলা হয়, তারা চুপচাপ দেখেছে, কোন ব্যবস্থা নেয়নি, হামলাকারীদের ধরারও চেষ্টা করেনি। আমার নিরাপত্তায় পুলিশ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এখন এ বিষয়ে আমার নয়, বরং পুলিশেরই মামলা করা উচিত।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago