করোনাভাইরাস

বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়াল, মৃত্যু ৭ লাখ ৩৪ হাজার

ব্রাজিলে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ৮ আগস্ট ২০২০। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন সাত লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন এক কোটি ২২ লাখেরও বেশি মানুষ।

আজ মঙ্গলবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ২০ হাজার ৬৭৯ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৩৪ হাজার ৮০৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ২২ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৮ জন।

একবিংশ শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহামারি কোভিড-১৯। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ভাইরাসটির সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে।

প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে গত ৩ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায়। এর দেড় মাসের মধ্যেই আরও ৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে গত ২১ মে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়ায়। পরের ৩৭ দিনে আরও ৫০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে গত ২৮ জুন মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়ায়। এর পরের ৪৪ দিনে আক্রান্ত হয় আরও এক কোটিরও বেশি মানুষ। যা নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়াল।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৮ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ৪৬২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৫ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭০ জন, মারা গেছেন এক লাখ এক হাজার ৭৫২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৩০ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার তিন জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৬০ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থতে থাকা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৬১১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৩ হাজার ৩৯২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৩ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪ জন, মারা গেছেন ৪৪ হাজার ৩৮৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৩ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন আট লাখ ৯০ হাজার ৭৯৯ জন, মারা গেছেন ১৪ হাজার ৯৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৯৫ হাজার ৩১৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯৮ জন, মারা গেছেন ১০ হাজার ৬২১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ১৭ হাজার ২০০ জন।

পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৭৮ হাজার ২৪ জন, মারা গেছেন ২১ হাজার ৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ২০ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭৫ হাজার ৪৪ জন, মারা গেছেন ১০ হাজার ১৩৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৪৭ হাজার ৩৪২ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২৮ হাজার ৮৪৪ জন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ৬১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৪২ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪১ হাজার ৯৯৭ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৮৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ২৪ হাজার ৯৭০ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২২ হাজার ৯৮০ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৫৭৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫০ হাজার ৮২৫ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ২০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ দুই হাজার ২৪৮ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৯ হাজার ৩৪৯ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৩২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৯৭১ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৮ হাজার ৫০৮ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২০৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৩৮২ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৯০৬ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৮৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ২৪৭ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন তিন হাজার ৪৩৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

1h ago