সিরাজগঞ্জে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা গ্রামের বাসিন্দা মো. রেজাউল করিমের বাড়ি কয়েক মাস ধরে বন্যার পানিতে ডুবে আছে। তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন দুটি গরু নিয়ে রেজাউল আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা সুরক্ষা বাঁধের ওপর। এই অবস্থায় গরুর খাদ্য সংকট তার সমস্যা আরও প্রকট করে তুলেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বন্যার পানিতে মাঠ ডুবে গেছে। গরুকে ছেড়ে দিয়ে খাওয়াব— সেই উপায় নেই। খড় এবং ঘাসের দাম অনেক বেড়ে গেছে, টাকা না থাকায় কিনে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তখন রান্নার সময় তরকারির খোসা, বেছে ফেলে দেওয়া শাক কুড়িয়ে এনে খাওয়াচ্ছি।’
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা, শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, উল্লাপাড়া এবং কাজীপুর উপজেলার অধিকাংশ বাসিন্দাদের পেশা গবাদি পশু পালন। বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় যে কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
শাহজাদপুর উপজেলায় একটি বড় খামারের মালিক নজরুল ইসলাম নাকির। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘খড়ের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ঘাস কিনতে হচ্ছে দ্বিগুন দামে। গত মাসে আমি ৩০টি গরুর মধ্যে ১০টি বিক্রি করে দিয়েছি।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘মোট আট হাজার ৫৬২ এক গো-চারণ ভূমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ৭৭০ টন ঘাস এবং ৫৮৮ টন খড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক মাসের বন্যায়। প্রায় ১০ লাখ গরু, তিন লাখ ছাগল এবং দেড় লাখ ভেড়া পালন করছেন খামারিরা।’
Comments