গাজীপুরে কারখানা স্থানান্তরের প্রতিবাদ ও ৬ দফা দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ
কারখানা স্থানান্তরের প্রতিবাদ ও ৬ দফা দাবিতে গাজীপুর মহানগরের সাইনবোর্ড বাদে কলমেশ্বর এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিক্ষোভকারী শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্তৃপক্ষ যথারীতি ৩০ জুলাই কারখানা ছুটি ও ১২ আগস্ট খোলার ঘোষণা দেয়। ফলে, শ্রমিকরা ঈদের ছুটি শেষে কারখানার আশপাশে ভাড়া বাড়িতে উঠতে থাকে। গতকাল রাত ৯টার দিকে কারখানার গেটে একই জেলার শ্রীপুর উপজেলায় কারখানা স্থানান্তর ও শ্রমিকদের সেখানে যোগদানের নোটিশ দেওয়া হয়।
হঠাৎ করে কমপক্ষে ৫০ কিলোমিটার দূরে শ্রমিকদের যোগদানের নোটিশ করা ছাঁটাইয়ের চক্রান্ত বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
এ খবরে শ্রমিকেরা মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কারখানার সামনে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলো হলো- কারখানা স্থানান্তরের ১২০ দিন আগে নোটিশ প্রদান করতে হবে। প্রতি বছরের জন্য একটি সার্ভিস বেনিফিট প্রদান, বকেয়া মজুরি ও অন্যান্য মজুরি পরিশোধ, ১১ আগস্ট পর্যন্ত বাৎসরিক ছুটি হিসাব করে প্রাপ্য ভাতা পরিশোধ, মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা ও যে সব শ্রমিকদের চাকরির বয়স তিন মাসের কম তাদেরকে একটি বেসিক প্রদান করা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই কারখানায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করে আসছে। কারখানা স্থানান্তরের খবরে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ৬ দফা দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মেট্রোপলিটন ও শিল্প পুলিশ যৌথভাবে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
‘কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পর শ্রমিকদের দাবি পূরণে পুলিশের কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়,’ বলেন কামরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
Comments