ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, আখাউড়ায় ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী হারুন মিয়া। তার বাড়ি আখাউড়ার মসজিদপাড়ায়। এর আগে গত ৩০ মে এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন হারুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদিপক্ষের আইনজীবি গোলাম সারওয়ার খোকন বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- আখাউড়া থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান, এসআই হুমায়ুন কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোরশেদ এবং কনস্টেবল প্রশান্ত ও সৈকত।
মামলায় বলা হয়, আখাউড়ার মসজিদপাড়ার বাসিন্দা হারুন মিয়ার প্রতিবেশি কালাম মিয়ার স্ত্রী হাসিনা প্রকাশ চিকুনী বেগম এবং তার দুই মেয়ে মাদক কারবারে জড়িত। কারবারে বাঁধা দেওয়ায় হারুন মিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন চিকুনী বেগম। গত ২৫ মে রাত দেড়টার দিকে এসআই মতিউর ও হুমায়ুনসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য চিকুনী বেগমকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এসময় তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও তার স্ত্রীকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে পুলিশের সদস্যরা ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় । এ ছাড়াও তারা ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে।
এরই মধ্যে পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি রফা করার নামে তাদের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেন। বিষয়টি কাউকে জানালে হারুনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী হারুন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা আমাকে ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের কারণে এখন আমি নিজের বাড়িতে যেতে পারি না। তাই ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের বক্তব্য জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মুঠোফোনে কল করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Comments