গুরুর কারণে পিএসজিকে প্রতিপক্ষ পেয়ে রোমাঞ্চিত লাইপজিগ কোচ
অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে আরবি লাইপজিগ। বিস্ময়কর এই সাফল্যে উদ্ভাসিত লাইপজিগ কোচ জুলিয়ান নেগেলসম্যান বিশেষ কারণে রোমাঞ্চিত পরের ম্যাচ নিয়ে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আর সেই দলটির জার্মান কোচ টমাস টুখেল যে নেগেলসম্যানেরও এক সময়ের গুরু, কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর কারিগর।
বৃহস্পতিবার স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাতলেতিকোকে ২-১ গোলে হারায় জার্মান ক্লাব লাইপজিগ। মাত্র ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা ক্লাবটি পৌঁছে যায় ইউরোপের সেরা আসরের শেষ চারে।
আগামী মঙ্গলবার লিসবনে পিএসজির বিপক্ষে নামবে লাইপজিগ। অ্যাতলেতিকোকে হারানোর পরই সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন ৩৩ বছর বয়সী নেগেলসম্যান। ক্লাব হিসেবে লাইপজিগের যাত্রা আর কোচ হিসেবে নেগেলসম্যানের যাত্রাও প্রায় একই সময়ে।
হাঁটুর চোটে ২০০৮ সালে পেশাদার ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি। প্রায় এক যুগ আগে সেই যাত্রায় তাকে প্রথম কোনো সুযোগ করে দিয়েছিলেন পিএসজির বর্তমান কোচ টুখেলই। অগসবুর্গের হয়ে শিক্ষানবিশ কোচ হিসেবে নেগেসলসম্যানকে সুযোগ করেন দেন টুখেল।
নেগেলসম্যানও সেখানেই থেমে থাকেননি। ধাপে ধাপে উঠেছেন উপরে। বুন্ডেসলিগার দল হফেনহেইমের দায়িত্ব পেয়ে টুখেলের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে তখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ ৪৬ বছর বয়সী টুখেল। গুরুর বিপক্ষে সেসময় তিন দেখার দুবার হার আর এক ড্র জুটেছিল নেগেলসম্যানের।
পিএসজিকে প্রতিপক্ষ পেয়েই সাবেক গুরুর প্রসঙ্গ আনেন নেগেলসম্যান, ‘সেরা কোচের অধীনে তারা সেরা এক দল।’
‘আমি তাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছি মাঝেমাঝে, কিন্তু কখনো হারাতে পারিনি।’
এবার সেই পরিসংখ্যান বদলাতে চান নেগেলসম্যান, ‘এটা এখন বদলানো উচিত। খারাপ খেলেও যদি জিততে পারি তাহলে তৃপ্ত হব।’
তবে কেবল কোচ নয়, প্রতিপক্ষের বড় তারকাদের দিকেও তাকাতে হচ্ছে লাইপজিগ কোচকে। আতালান্তার বিপক্ষে ৯০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে জিতে সেমিতে উঠেছে পিএসজি। নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেদের দিকে বাড়তি নজর তাই দিতেই হবে, ‘একদম তারায় ভরা দল। সেদিন তারা যেভাবে শেষ করেছে, বোঝা যায় তাদের মান কেমন।’
আতালান্তার বিপক্ষে চোটের কারণে পিএসজি পায়নি অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে, দ্বিতীয়ার্ধে আগে নামতে পারেননি এমবাপেও। তারা সবাই ফিট থাকায় অনেক বড় বিস্ময় উপহার দিয়েই আগামী ২৩ অগাস্টের ফাইনালে যেতে হবে লাইপজিগকে, ‘ডি মারিয়া ফিরছে, এমবাপে শুরু থেকে খেলার জন্য পুরো ফিট। এটা পরিষ্কার যে, ফাইনালে যেতে আমাদের আরেকটি শ্রেষ্ঠ নৈপুণ্য দেখাতে হবে।’
Comments