আশুলিয়ায় কীটনাশক দিয়ে ৫ কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

সাভারের আশুলিয়ায় মাছের খামারে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৫ কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকার প্রাণ প্রকৃতি এগ্রো মাছের খামারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রায় ৩০ টন মাছ অপসারণ করে মাটিতে পুতে রাখা হয়। খামারে ১০ বছর বয়সেরও বড় বড় মাছ ছিল যা সব মরে গেছে। ছবি: পলাশ খান

সাভারের আশুলিয়ায় মাছের খামারে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৫ কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকার প্রাণ প্রকৃতি এগ্রো মাছের খামারে এ ঘটনা ঘটে।

মৎস্য খামারের একজন অংশীদার শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পারিবারিক মালিকানাধীন ৪০ বিঘা জায়গাসহ মোট ৬০ বিঘা জায়গার উপর দীর্ঘ ২২ বছর ধরে আমরা মাছের চাষ করে আসছি। গতকাল হঠাৎ করেই পানিতে মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সেগুলো মারাও যায়। প্রায় ৩০ টন মাছ অপসারণ করে মাটিতে পুতে রাখা হয়। খামারে ১০ বছর বয়সেরও বড় বড় মাছ ছিল যা সব মরে গেছে।’

‘আজ পর্যন্ত প্রায় ১০০ টন মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। এতে আমাদের প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে,’ বলেন শহিদুল ইসলাম।

শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘কারো সঙ্গে বিরোধ না থাকলেও অনেক সময় মাছ ধরা নিয়ে অনেককে নিষেধ করায় একটি মহল পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। মাছ মারা যাওয়ায় জেলেসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কাজের লোকের জীবিকায় বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা।’

খামারের পানির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে থানায় অভিযোগ করবেন বলেন জানান শহিদুল।

সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমাদের প্রতিনিধি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তারা বলেছে, খামারটির আশেপাশেও কয়েকটি পুকুর আছে যেখানে বানা দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ওসব পুকুরের মাছ মারা যায়নি। শুধু খামারটিতে মাছ মারা গেছে।’

হারুনর রশিদ বলেন, ‘আমাদের বিষ পরীক্ষার কোনো যন্ত্র নেই। আমরা শুধু পুকুরের এ্যামোনিয়া গ্যাস ,অক্সিজেন লেভেল এবং পিএস পরিমাপ করতে পারি। এই তিনটি পরীক্ষায়ই দেখা গেছে কোনোটাই স্বাভাবিক নেই। পিএইচ থাকতে হয় সাড়ে সাত থেকে সাড়ে আট সেখানে পাওয়া গেছে ৯ এর উপরে, অক্সিজেন লেভেল থাকতে হয় ৫ সেখানে পাওয়া গেছে ২ এবং এ্যামোনিয়া থাকতে হয় .০৫ সেখানে এ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে ৫। এস কারণে মাছ মারা যেতে পার। এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না।’

খামারির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের মৎস্য অধিদপ্তরেই বিষ পরীক্ষা করার কোনো যন্ত্র নেই। তাই খামারিকে বিষ পরীক্ষার জন্য মৃত মাছ নিয়ে মহাখালী যেতে বলা হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago