মেসিকে দলবদ্ধভাবে আটকাবে বায়ার্ন, জানালেন ফ্লিক ও মুলার

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪২ ম্যাচে ১১৫ গোল করা মেসিকে থামানোর একটা সুনির্দিষ্ট ছক কষেছে বায়ার্ন।
messi
ছবি: বার্সেলোনা ওয়েবসাইট

বুন্ডেসলিগায় টানা অষ্টম শিরোপা জেতার পর জার্মান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ট্রেবল জয়ের অভিযানে থাকা দলটির বর্তমান লক্ষ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সও লিগেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

তবে ট্রেবল তাড়া করা বায়ার্নকে আটকাতে হবে রেকর্ড ছয়টি ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের দল বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে তারা। পর্তুগালের স্তাদিও দা লুজে দুই হেভিওয়েটের ম্যাচ শুরু শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায়।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪২ ম্যাচে ১১৫ গোল করা মেসিকে থামানোর একটা ছক অবশ্য কষেছে বায়ার্ন। বাভারিয়ানদের কোচ হ্যান্সি ফ্লিক আর ফরোয়ার্ড টমাস মুলার একই সুরে বলেছেন, কারও একার পক্ষে বার্সা অধিনায়ককে আটকানো সম্ভব নয়। বরং দলবদ্ধভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে তার উপর।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফ্লিক জানিয়েছেন, মেসি লম্বা সময় ধরে শীর্ষে থাকলেও লড়াইটা কেবল বার্সা ও মেসির মধ্যে নয়, ‘গেল কয়েক বছর ধরেই মেসি সেরা খেলোয়াড়। একজন অসাধারণ খেলোয়াড়।’

‘তবে এটি কেবল মেসির বিপক্ষে বায়ার্নের ম্যাচ নয়। বার্সেলোনার বিপক্ষে বায়ার্নের। মেসি বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং আমরা কীভাবে তার বিপক্ষে খেলব সে বিষয়ে আমরা স্পষ্টভাবে চিন্তা করেছি।’

‘দল হিসেবে আমাদের এটি (মেসিকে আটকানো) করতে হবে। তার বিপক্ষে বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। (তার আশেপাশের) জায়গাগুলোতে নজর দিতে হবে আমাদের। তাকে “ওয়ান-অন-ওয়ান” পরিস্থিতিতে চাপের মধ্যে ফেলতে হবে এবং সেগুলোতে জয়ী হতে হবে আমাদের।’

নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে আরেক বার্তা সংস্থা এএফপির কাছেও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন মুলার, ‘তার বিপক্ষে কখনোই একা একা সফল হওয়া যাবে না। মেসির বিপক্ষে (বায়ার্নের আগের) ম্যাচগুলোতে দেখেছি যে, পুরো দল যখন তাদের ভূমিকা পালন করে, তখন ভালো ফল পাওয়া যায়।’

‘যদি প্রথম খেলোয়াড় (মেসির কাছ থেকে) বল কেড়ে নিতে না পারে, তাহলে পরের জনকে এগিয়ে আসতে হবে।’

‘আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আক্রমণাত্মকভাবে তার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জে যেতে হবে, কিন্তু সেগুলো হতে হবে নির্ভুল।’

Comments

The Daily Star  | English
bd govt logo

Army given magistracy power for 60 days

The government has decided to give magistracy power to the commissioned officers of the Bangladesh Army.

40m ago