বশেমুরবিপ্রবি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় যুবলীগের নেতা বহিষ্কার
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মো. ফিরোজ মাহমুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পলাশকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
পলাশ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার ভাই আমিনুল ইসলাম শরীফ ওরফে লাচ্চু শরীফ একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার বনানী থানা ও গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ মহাখালীর জিসার ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের একটি কক্ষে যৌথ অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। এরা হলো ময়মনসিংহ জেলার চোরখাই গ্রামের মইজউদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩৬) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (৩৫)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আটক দুজন ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত। পলাশ শরীফসহ একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে। পালাশকে গ্রেপ্তারের জন্য কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, কম্পিউটার চুরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চোরেরা যত শক্তিশালী হোক না কেন সেটা খুঁজে বের করা হবে। আশা করি দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেস ড. নূর উদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানায় তিনি এ ব্যাপার মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ঢাকা থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে ২০১৮ সালে ৪৭টি ও পরের বছর ৫০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।
Comments