দুই শর্ত পূরণ হলেই মাঠে ফিরবে ক্রিকেট

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় পাঁচ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট। তবে দুই সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগত অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। তাতে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন হয়তো খুব শিগগিরই মাঠের ক্রিকেটও শুরু হতে যাচ্ছে। তবে আপাতত ঘরোয়া কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট শুরুর ইচ্ছা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অথবা এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত শুরু করার ইচ্ছা নেই বলেই জানালেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
Nazmul Hasan Papon
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় পাঁচ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট। তবে দুই সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগত অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। তাতে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন হয়তো খুব শিগগিরই মাঠের ক্রিকেটও শুরু হতে যাচ্ছে। তবে আপাতত ঘরোয়া কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট শুরুর ইচ্ছা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অথবা এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত শুরু করার ইচ্ছা নেই বলেই জানালেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

মূলত দুটি শর্ত পূরণ হলেই ঘরোয়া ক্রিকেট ফের শুরু হতে পারে বলে জানান বিসিবি সভাপতি, 'লিগ শুরু... প্রথম কথা হচ্ছে, দুইটি কন্ডিশন হলে লিগ শুরু হতে পারে। প্রথমত, করোনা পরিস্থিতি যদি উন্নতি করে। দ্বিতীয়ত, ভ‌্যাসকিন আসে। এ দুইটা ছাড়া লিগ চালু করার যৌক্তিকতা দেখি না। কোনো একটা যুক্তি থাকতে হবে তো।'

তবে এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। আরও বেশ কয়েকটি দেশেই ক্রিকেট শুরু হওয়ার পথে রয়েছে। তবে বিসিবি কোনো ধরণের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বলেই জানালেন পাপন, 'একটা দুইটা দেশ চেষ্টা করছে খেলা ফেরানোর। ইংল্যান্ড ছাড়া কোথাও খেলা হচ্ছে না। আমরা সাহস দেখাতে গিয়ে এখন বিপদ ডেকে আনা… আমাদের কাছে যুক্তিসঙ্গত কোনো ব্যাখ্যা নেই। হয় করোনা পরিস্থিতি উন্নতি করতে হবে নয়তো ভ‌্যাকসিন আসতে হবে। এজন্য আমরা অপেক্ষা করছি।'

ঘরোয়া ক্রিকেট বিশেষ করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু না হলে বেশ সমস্যায় পড়বেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। কারণ এর উপর নির্ভর করেই রুটি রুজি করেন অনেকেই। তাই লিগ শুরু না হলে তাদের জন্য বড় ধাক্কাই হবে। আপাতত সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান পাপন, 'এ সময়টা সবার জন্য এরকমই। কিছু করার নেই। আপনার লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি লোক চাকরি হারাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের আয় নেই, ব্যবসা নেই। এটা একটা অনিশ্চয়তা। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি কত দ্রুত সম্ভব এটা থেকে বের হতে পারি। ভ‌্যাসকিন আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। যদি ভ‌্যাসকিন আসবে, ট্রায়াল হবে, সেটা প্রয়োগ হবে… সব কিছুর জন্য সময় লাগবে। খুব খারাপ সময় যাচ্ছে।'

তবে অতিমারির এ সময়ে যতোটা সম্ভব খেলোয়াড়দের পাশে থাকবেন বলেই জানালেন বিসিবি সভাপতি, 'ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাদের কিভাবে পাশে থাকা যায়, সাহায্য করা যায় সেটার চেষ্টা অবশ্যই করবো। এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago