করোনাভাইরাস

মৃত্যু ৭ লাখ ৭৪ হাজার, আক্রান্ত ২ কোটি ১৬ লাখের বেশি

রুশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের নমুনা। ৬ আগস্ট ২০২০। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে সাত লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ১৬ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন এক কোটি ৩৬ লাখের বেশি মানুষ।

আজ সোমবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৭০৬ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৭৪ হাজার ২৯৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৫ জন।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ তিন হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৫২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ১৯৭ জন, মারা গেছেন এক লাখ সাত হাজার ৮৫২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৭ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৫৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ২২ হাজার ১৬২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ২৪ হাজার ২৯৮ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থতে থাকা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭৯১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২০ হাজার ৩৪৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮৬ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮২ জন, মারা গেছেন ৪৯ হাজার ৯৮০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬২ হাজার ২৫৮ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ২০ হাজার ৭১৯ জন, মারা গেছেন ১৫ হাজার ৬৫৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৩১ হাজার ৪৪৪ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৫ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ৮৩৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭২ হাজার ৩৭৭ জন।

পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৮০৩ জন, মারা গেছেন ২৬ হাজার ৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৭ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৬ জন, মারা গেছেন ১০ হাজার ৪৫২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৫৮ হাজার ৮২৮ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৪৩ হাজার ২০৩ জন, মারা গেছেন ১৯ হাজার ৬৩৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৩০৯ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৯৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৩০ হাজার ৯৬৯ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৪২ হাজার ৮১৩ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬১৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৯১৫ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৩৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ তিন হাজার ৭৮৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৯৬৫ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৪১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৯৩ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার সাত জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ এক হাজার ১৮৭ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৩৭৫ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৭০৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৩ হাজার ১৯৭ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন তিন হাজার ৬৫৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ জন।

Comments

The Daily Star  | English
problems in filing complaints in police stations

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

2h ago