এমন হার মেনে নিতে পারছেন না ম্যানইউ কোচ

আরও একটি সেমি-ফাইনালে হার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। আগের দিন ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার সঙ্গে হেরে বিদায় নিয়েছে দলটি। অথচ কাগজে কলমে স্প্যানিশ দলটির চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল তারা। তার উপর ম্যাচে এক সময়ে এগিয়ে ছিল তারাই। স্বাভাবিকভাবেই এমন হার মেনে নিতে পারছেন না দলটির প্রধান কোচ ওলে গানা সুলশার।
এর আগে লিগ কাপ ও এফএ কাপের সেমি-ফাইনালেও হেরে বিদায় নিয়েছিল ইউনাইটেড। অথচ ব্রুনো ফার্নান্দেজ দলে যোগ দেওয়ার পর যেন আমূল বদলে গিয়েছিল তারা। অসাধারণ খেলছিল দলটি। কিন্তু শেষ চারে উঠলেই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে তারা। আর আগের দিন শুরুর দিকে চেনা ছন্দে খেললেও একসময় সে ছন্দ হারিয়ে ফেলে দলটি। এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলের ব্যবধানে হারে সুলশারের শিষ্যরা। এ নিয়ে টানা তিন আসরে শিরোপাশূন্য থাকল তারা। এর আগে ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এমনটা দেখেছিল ঐতিহ্যবাহী এ ইংলিশ দলটি।
তাই ম্যাচ শেষে নিজের হতাশা গোপন করতে পারেননি ইউনাইটেড কোচ। এ হার মেনে নিতে পারছেন বলেই জানান তিনি, 'এটা অনেক হতাশাজনক। মেনে নেওয়া অনেক কঠিন। আমরা এক সময় দারুণ ফুটবল খেলছিলাম এবং অনেক সুযোগও তৈরি করেছি। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী গোল পাইনি।'
তবে আগের দিন ম্যাচে হারের দায় অনেকেই সুলশারকে দিচ্ছেন। কারণ শুরুর ছন্দ হারিয়ে ফেলার পরও ৮৭ মিনিট পর্যন্ত দলের কোনো খেলোয়াড়ের পরিবর্তন করেননি তিনি। তবে কেন করেননি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ইউনাইটেড কোচ, 'একটা সময়, এ ধরণের ম্যাচে, যখন আপনি অনেক সুযোগ পাবেন এবং গোল করে এগিয়ে যাবেন তখন যে খেলোয়াড়রা গোল করেছে তাদের উঠিয়ে নেওয়া কঠিন।'
এদিন অবশ্য নিজের রিজার্ভ বেঞ্চে পর্যাপ্ত ভালো মানের খেলোয়াড় না থাকার অভাবটা ভালোভাবেই টের পেয়েছেন সুলশার। এরজন্য ভালো মানের কিছু ট্রান্সফার করতে চানও তিনি। কিন্তু এর আগে শতভাগ নিশ্চিত হতে চান। কারণ তাড়াহুড়া করে দলে বেশ কিছু খেলোয়াড় এনে তার জের এখনও টানছে তারা। সুলশারের ভাষায়, 'অবশ্যই আমাদের দলের শক্তির গভীরতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমি বলতে পারছি না কখন এবং কোনো ট্রান্সফার হবে কি-না তবে আমরা চেষ্টা করছি। তবে চুক্তি করার আগে আমাদের শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে।'
Comments