রূপপুর প্রকল্পে ক্রয় দুর্নীতি: হাইকোর্টে জামিন পাননি প্রকৌশলী শফিকুল

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের জন্য আসবাবপত্র ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলার আসামি গণপূর্ত বিভাগের বরখাস্তকৃত সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।
ফাইল ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের জন্য আসবাবপত্র ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলার আসামি গণপূর্ত বিভাগের বরখাস্তকৃত সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।

তবে, প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামকে কেন মামলায় জামিন দেওয়া হবে না, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সরকারের কাছে তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ শফিকুলের দায়ের করা তিনটি জামিন আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ সব আদেশ দেন।

মামলার বাদীপক্ষ দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী শফিকুল জেলহাজত থেকে মুক্তি পেতে পারেন না।

খুরশিদ আলম খান জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি সামগ্রী সরবরাহে ২৬ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে দুদকের পাবনা জেলা কার্যালয়ে শফিকুলসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত বছর ১২ ডিসেম্বর মামলা হয়।

শফিকুলকে সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।

সে সময় প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই প্রকল্পে রাশিয়ান প্রকৌশলীসহ অন্যদের আবাসনের জন্য বরাদ্দ ৯৬৬টি ফ্ল্যাটে সরবরাহকৃত আসবাবপত্রের দাম স্বাভাবিক বাজার দরের চেয়ে অস্বাভাবিক রকম বেশি ছিল।

প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয় প্রতিটি বালিশ ৫,৯৫৭ টাকায় কেনা হয় এবং ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ হয় ৭৬০ টাকা। প্রতিটি বৈদ্যুতিক চুলা ৭,৭৪৭ টাকায় কিনে ওপরের তলায় নিয়ে যেতে ৬,৬৫০ টাকা লেগেছিল এবং একটি বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি ৪,১৫৪ টাকায় কিনে ফ্ল্যাট পর্যন্ত নিয়ে যেতে আরও ২,৯৪৫ টাকা খরচ হয়েছিল।

আজ শুনানিতে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা শফিকুলের পক্ষে এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Independents all-time high

The number of independent aspirants submitting nomination papers for the upcoming national polls is at an all time high.

4h ago