‘মানুষ’ সিলভাকে আর শ্রদ্ধা করেন না লাৎসিওর ক্রীড়া পরিচালক
লাৎসিওর সঙ্গে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন ডেভিড সিলভা। জন্মভূমির টানে লা লিগার দল রিয়াল সোসিয়েদাদে নাম লিখিয়েছেন তিনি। একেবারে শেষ মুহূর্তে স্প্যানিশ তারকা মিডফিল্ডারের মত পাল্টানো মেনে নিতে পারছে না ইতালিয়ান ক্লাবটির ক্রীড়া পরিচালক ইগলি তারে।
কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েও ফুটবলারদের অন্য ক্লাবে যোগ দেওয়ার নজির একেবারে কম নয়। তবে স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা সিলভার আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারে। মঙ্গলবার লাৎসিওর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘মানুষ’ হিসেবে তার কাছে শ্রদ্ধা হারিয়েছেন সিলভা।
‘ডেভিড সিলভার রিয়াল সোসিয়েদাদে যোগ দেওয়ার খবর জানলাম। খেলোয়াড় হিসেবে তার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে, কিন্তু মানুষ হিসেবে তাকে আর শ্রদ্ধা করি না।’
ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে এক দশক কাটানোর পর স্পেনে ফিরেছেন সিলভা। স্বদেশি ক্লাবের সঙ্গে গতকাল সোমবার দুই বছরের চুক্তি করেছেন তিনি। ম্যান সিটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সোসিয়েদাদকে দিতে হয়নি কোনো ট্রান্সফার ফি।
তবে ৩৪ বছর বয়সী সিলভাকে দলভুক্ত করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল লাৎসিও। তিন বছরের চুক্তিতে তাকে ইতালিতে নিতে চেয়েছিল তারা। বেতন-বোনাস হিসেবে সিলভাকে বার্ষিক চার মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার পাশাপাশি তার জন্য ব্যক্তিগত জেট বিমানের ব্যবস্থা করার কথাও জানিয়েছিল ক্লাবটি।
গেল শনিবার ম্যান সিটির জার্সিতে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলেন সিলভা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে অলিম্পিক লিঁওর কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ৩-১ গোলে হেরে যায় তার দল।
সিলভা সিটিজেনদের হয়ে চারটি প্রিমিয়ার লিগসহ মোট ১৪টি শিরোপা জিতেছেন এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ৪৩৬টি ম্যাচ। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দলটির পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার দখলে। গত এক দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭০টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি।
সবশেষ ২০১০ সালে লা লিগায় খেলেছিলেন সিলভা। ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানোর আগে ভ্যালেন্সিয়ায় ছয় বছর কাটিয়েছিল তিনি।
ম্যান সিটির মতো সোসিয়েদাদেও নিজের পছন্দের ২১ নম্বর জার্সি গায়ে চাপাবেন সিলভা। গেল মৌসুমে জার্সিটি পরেছিলেন নরওয়ের মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড। সোসিয়েদাদে ধারে এক মৌসুম কাটিয়ে মূল ঠিকানা রিয়াল মাদ্রিদে ফিরে গেছেন তিনি।
Comments