পরিসংখ্যান: বায়ার্ন মিউনিখ বনাম অলিম্পিক লিঁও

bayern and lyon
ছবি: সংগৃহীত

শিরোপা জয়ের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখকে। তাদের প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিওঁর গায়ে রয়েছে জায়ান্ট কিলার তকমা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোন দলটি জায়গা করে নেবে, তা জানা যাবে কয়েক ঘণ্টা পরই।

ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের এক লেগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন ও ফরাসি ক্লাব লিঁও। বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় লিসবনের স্তাদিও হোসে আলভালাদেতে মাঠে নামবে দল দুটি। এই ম্যাচের বিজয়ী দল শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে মোকাবিলা করবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি)।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বায়ার্ন। এবারের আসরে খেলা নয় ম্যাচের প্রতিটিতে জিতেছে তারা। প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে কচুকাটা করছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। গেল শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী বার্সেলোনাকেও তছনছ করে দিয়েছেন রবার্ট লেভানডভস্কি-থমাস মুলাররা। সেদিন ৮-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জেতায় তাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে তুঙ্গে।

চমক দেখিয়ে শেষ চারে ওঠা লিঁও আছে দারুণ ছন্দে। এক দশক পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে নাম লেখানোর পথে তারা বিদায় করেছে আসরের দুই ফেভারিট জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার সিটিকে। তাই পরিসংখ্যান ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিচারে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও রুদি গার্সিয়ার দলের বিপক্ষে সতর্ক থাকতে হচ্ছে বায়ার্নকে।

পরিসংখ্যানে বায়ার্ন-লিঁও লড়াই:

১. নবমবারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পরস্পরের বিপক্ষে লড়বে বায়ার্ন ও লিঁও। আগের আট ম্যাচের চারটিতে জিতেছে বাভারিয়ানরা। ফরাসিদের জয় দুটিতে। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

২. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গেল দশ বছরের মধ্যে প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। সবশেষ ২০০৯-১০ মৌসুমের সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল তাদের। সেবার দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠেছিল বায়ার্ন।

৩. ১২তম বারের মতো প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনালে খেলছে বায়ার্ন। তাদের চেয়ে বেশি সংখ্যক বার শেষ চারে খেলেছে কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ (১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন)। লস ব্লাঙ্কোসরা সেমিতে নাম লিখিয়েছে ১৩ বার।

৪. ২০১২-১৩ মৌসুমে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার পর এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সেমিতে উঠেছে বায়ার্ন। কিন্তু গেল চারবার তারা টপকাতে পারেনি শেষ চারের বাধা।

৫. দ্বিতীয় ফরাসি কোচ হিসেবে কোনো ফরাসি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলার কীর্তি গড়ার সুযোগ রয়েছে লিওঁ কোচ রুদি গার্সিয়ার সামনে। ২০০৩-০৪ মৌসুমে মোনাকোকে ফাইনালে তুলেছিলেন দিদিয়ের দেশাম।

৬. লিওঁকে হারালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে বায়ার্ন। টানা দশ ম্যাচ জিতে ২০১৩ সালের নভেম্বরে তারাই গড়েছিল কীর্তিটি। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের পাশে বসেছিল স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল।

৭. চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৩৯ গোল করেছে বায়ার্ন। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে মাত্র নয় ম্যাচে এত গোল করার রেকর্ড নেই আর কোনো ক্লাবের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড অবশ্য বার্সার দখলে। ১৬ ম্যাচে ৪৫ গোল করেছিল দলটি ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে।

Comments

The Daily Star  | English

SSC examinee dies in Uttara road crash after leaving exam centre

Nayeem's classmate Pallab Kumar Shil said they were students of Uttara High School and were appearing for their SSC exams this year

27m ago