‘পিএসজি ভয়ঙ্কর’, বায়ার্নকে হুশিয়ার জার্মান কিংবদন্তির

Franz Beckenbauer
ফাইল ছবি: এএফপি

জার্মানির ফুটবল কিংবদন্তি ও প্রাক্তন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা ফ্রানৎস্ বেকেনবাওয়ার মনে করেন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এক ভয়ঙ্কর দল। নিজ দল বায়ার্নকে হুশিয়ার করে ‘কাইজার’ বলেছেন পিএসজির বিপক্ষে সামান্য হেলদোলও বায়ার্নকে তছনছ করে দিতে পারে।

রোববার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় পর্তুগালের লিসবনে হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। মুখোমুখি হবে দুরন্ত ছন্দে থাকা জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন আর ফরাসী চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।

করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে বিশেষ সুরক্ষা নিয়ে, দর্শকশূন্য মাঠে হতে যাওয়া ইউরোপ সেরার লড়াই নিয়ে উত্তাপ তুঙ্গে। কথার লড়াইয়ের সঙ্গে সাবেক তারকারা করছেন বিশ্লেষণ।

সত্তর দশকে বায়ার্নের অনেক সাফল্যের নায়ক  বেকেনবাওয়ার ক্লাবটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দিয়েছেন এক সাক্ষাতকার। তাতে তিনি নেইমার, কিলিয়ান এমবাপের সামর্থ্যের কথা মনে করিয়ে দেন,  ‘পিএসজি এমন একটা দল যাদের সাদামাটা করে দেখলে আপনাকে তছনছ করে দেবে। ওরা ভয়ঙ্কর।’

‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির সব খেলাই আমি দেখেছি। কোন দুর্বলতা পাইনি ওদের। ফাইনালকে কাউকে এগিয়ে রাখার উপায় নেই। আমি বলব পঞ্চাশ-পঞ্চাশ।’

ক্লাবের ঐতিহ্য, নাম-ভার আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার হিসেবে অনেকটাই ফেভারিট বায়ার্ন। পাঁচবার ইউরোপের সেরা এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মানির ক্লাব। আর পিএসজি আছে প্রথম শিরোপার খোঁজে। এই প্রথমবার ফাইনালেই উঠেছে তারা।

তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে আবার এগিয়ে পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ৮ দেখায় ৫ বার জিতেছে প্যারিসের দল। আর ৩ জয় বায়ার্নের।

এবার কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসিদের বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে আসায় অনেকেরই বাজি বায়ার্নের পক্ষে। তবে সময়ের সেরা ফর্মে থাকা নেইমার, কার্যকর আনহেল দি মারিয়া আর কিলিয়ান এমবাপের দুরন্ত গতি কথা বলছে পিএসজির হয়েও।

‘দ্য কাইজার’ খ্যাত জার্মান কিংবদন্তি বেকেনবাওয়ার আশায় আছেন, দুই দল খেলবে তেড়েফুঁড়ে, ফাইনাল হবে জম্পেশ,  আমি আশা করব কোন দলই ধরে ধরে খেলবে না, প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হতে দ্বিধা করবে না। বাড়তি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে কেউ কুঁকড়ে যাবে না। তাহলেই অসাধারণ একটা ফাইনাল আমরা দেখতে পারব।’

‘বায়ার্ন নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করলে কাপ জিতবে আশা করি। তবে বার্সেলোনার বিপক্ষে তারা যেমন খেলেছিল, সেমিফাইনালে লিঁওর বিপক্ষে তা চোখে পড়েনি। ওই ম্যাচে নয়্যার দুর্দান্ত ছিল। নিশ্চিত একাধিক গোল বাঁচিয়েছে।’

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

12h ago