বাড়িতে হামলা চালিয়ে অপহরণ, ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা ও দাদীকে পিটিয়ে স্কুলছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী।

বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা ও দাদীকে পিটিয়ে স্কুলছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর পরিবার ও গ্রামের মানুষ।

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন আজ শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি তবে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।  

গত জানুয়ারিতে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উলিপুর থানায় সোহেল রানার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেছিলেন মেয়েটির বাবা। এই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। 

মামলা থেকে রেহাই পেতে সোহেল রানা ও তার পরিবার স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে এমন ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

অপহৃত শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি আন্তরিক হলে ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারতেন আর আসামিদের গ্রেপ্তারও করতে পারতেন। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা ছিল অসন্তোষজনক। ‘আমার মেয়েকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে ও আমার বৃদ্ধা মাকে মারপিট করেছে। আমার বৃদ্ধা মা নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়েছেন,’ তিনি জানান। ‘পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে শুধু মিথ্যা সান্তনা দিচ্ছে যে আমার মেয়েকে অক্ষত উদ্ধার করবেন,’ তিনি জানান।

‘না জানি আমার মেয়েটা কী অবস্থায় আছে। তার উপর কত অত্যাচার করা হচ্ছে। তাকে মেরে ফেলেছে নাকি সেটাও জানি না।’

শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন দিনেও পুলিশ আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি এবং গ্রেপ্তারও করতে পারেনি কোন আসামিকে। অথচ আসামিপক্ষের লোকজন আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই।’

পুলিশ জানায়, ভিকটিমের প্রতিবেশি নুর আলমের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানা তার লোকজনসহ লাঠিসোটা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির বাবা সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

‘খুব শিগগির আমরা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে এ ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারব,’ বলেন উলিপুর থানার ওসি।

Comments

The Daily Star  | English
Gazipur factory fire September 2024

Business community's voice needed in the interim government

It is necessary for keeping the wheels of growth running and attracting foreign investment in the new Bangladesh.

13h ago