ভিকারুননিসার দুই সাবেক শিক্ষকের জামিন বাতিল
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/aritri-protest.jpg?itok=6XYOhmSc×tamp=1598191013)
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচণা’ মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই সাবেক শিক্ষকের জামিন বাতিল করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ আদেশ পাস করেন। ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন হাওলাদার ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তরা হলেন- বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও সকালের শিফটের ইনচার্জ জিনাত আক্তার।
আদালত এ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আজ শুনানি চলাকালীন এই মামলার ভুক্তভোগীর মা বিউটি অধিকারী আদালতে তার জবানবন্দি দেন।
মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অরিত্রী ও তার বাবা-মাকে অপমান করার কয়েক ঘণ্টা পর শান্তিনগরে নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।
পরের দিন তার বাবা দিলীপ অধিকারী পল্টন থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ করা হয়।
ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর বরখাস্তের কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে।
একই দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে নাজনীন এবং জিনাতকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তারা ঢাকার একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
গত বছরের ২৮ শে মার্চ নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম।
তবে, মামলার তদন্তে অপর আসামি অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা নির্দোষ শনাক্ত হলে তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।
গত বছরের ১০ জুলাই আদালত এই মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
Comments