করোনাভাইরাস

মৃত্যু ৮ লাখ ১৩ হাজার, আক্রান্ত ২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি

চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে ব্রাজিলে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে আট লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৩৬ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন এক কোটি ৫৩ লাখের বেশি মানুষ।

আজ মঙ্গলবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৭ জন এবং মারা গেছেন আট লাখ ১৩ হাজার ২২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৫২ জন।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬৪ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭৭ হাজার ২৪৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ২০ হাজার ৭৭৪ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ২২ হাজার ৮৬১ জন, মারা গেছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৩০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৬ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৮০০ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৫ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৬ হাজার ২০৯ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থতে থাকা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫১৯ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২৮ হাজার ৬২০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৫০ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪০ জন, মারা গেছেন ৫৬ হাজার ৭০৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, কলম্বিয়া ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ৫৯ হাজার ১৬ জন, মারা গেছেন ১৬ হাজার ৪০৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৭১ হাজার ৩৫৭ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১১ হাজার ৪৫০ জন, মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৪ জন।

পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৩২৬ জন, মারা গেছেন ২৭ হাজার ৬৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জন। কলম্বিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ১৩৯ জন, মারা গেছেন ১৭ হাজার ৩১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ২৪ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৮ জন, মারা গেছেন ১০ হাজার ৯১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৪৬৪ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জন, মারা গেছেন ২০ হাজার ৭৭৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ১১ হাজার ৩৬৫ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬৯২ জন, মারা গেছেন ছয় হাজার ১৩৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৯০৮ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ পাঁচ হাজার ৪৩৬ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৮৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৬০ হাজার ২৯৮ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৪৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ পাঁচ হাজার ৬৬২ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৪১৪ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৫৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৩৫২ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ১২২ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২৭৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ২৫৬ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৭১৮ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৭১১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৬ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই লাখ ৯৭ হাজার ৮৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন তিন হাজার ৯৮৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৭৫ জন।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Jagannath Oikyo has declared the university indefinitely closed

16m ago