লালমনিরহাটে নদী-ভাঙ্গন রোধে গ্রামবাসীর সঙ্গে কাজ করছেন রোভার সদস্যরা

ধরলা নদীর ভাঙন থেকে চর ফলিমারী গ্রামকে রক্ষা করতে গ্রামবাসীর সঙ্গে কাজ করছেন রোভার স্কাউট সদস্যরা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা এই গ্রামটি ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার হুমকিতে রয়েছে। প্রায় ৫০০ মিটার জুড়ে ভাঙছে ধরলা নদী।
গ্রামবাসীরাও কাজ করছেন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। তারা নিজেদের মধ্যে চাঁদা হিসেবে বাঁশ-কাঠ জোগাড় করে সেগুলো দিয়ে পাইলিং করছেন।
লালমনিরহাট জেলা রোভারের সেক্রেটারি আরমান রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রচণ্ড রোদ মাথার ওপর রেখে নদীভাঙন রোধে কাজ করছেন জেলা রোভার-স্কাউটের সদস্যরা। সঙ্গে রয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজেও বালু ভরছেন বস্তার ভেতর। বস্তায় বালু ভরে সেগুলো ফেলছেন ভাঙনকবলিত স্থানে। উদ্দেশ্য চর ফলিমারী গ্রামকে রক্ষা করতে হবে ধরলা নদীর গ্রাস থেকে।’
লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রোভার স্কাউটের পাঁচ হাজার প্লাস্টিকের বস্তা দেওয়া হয়েছে। সেগুলোতে বালু ভর্তি করে ডাস্পিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড দিয়েছে এক হাজার জিও ব্যাগ।’
‘গ্রামবাসী নিজেরাই সাড়ে ৬০০ বাঁশ দিয়েছেন’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এসব বাঁশ দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে।
‘নদীভাঙন রোধে আমরা সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করছি। আশা করি, আমাদের সবার প্রচেষ্টায় চর ফলিমারী নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।’
‘আমি নিজেও একজন রোভার স্কাউট সদস্য। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কাজ করছি। কাজের মনিটরিং করছি,’ যোগ করেন তিনি।
নদীভাঙন কবলিত চর ফলিমারী গ্রামের সেকেন্দার আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নদীভাঙন ঠেকাতে রোভার স্কাউট সদস্য ও গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রেমের ভিত্তিতে এক সঙ্গে কাজ করছেন। বস্তায় বালু ভরে সেগুলো বাঁশের পাইলিং এর স্থানে ডাম্পিং করার কাজ চলছে। আশা করি, সবার চেষ্টায় চর ফলিমারী গ্রামটি রক্ষা হবে।’
‘নদীভাঙন ঠেকাতে রোভার স্কাউটের সহায়তা ও তাদের স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসী খুশি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত ভাঙন ঠেকানো গেছে। ভাঙন স্থায়ীভাবে ঠেকানো গেলে গ্রামটি রক্ষা পাবে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকাতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ।’
Comments