চুক্তির ধারা নিয়ে আদালতে মুখোমুখি মেসি-বার্সা?

শেষ পর্যন্ত মেসি আর বার্সা আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা!
messi
ফাইল ছবি: রয়টার্স

এমন মধুর সম্পর্ক এমন তিক্ততায় রূপ নিতে পারে তা কি কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিল?

বার্সেলোনার সঙ্গে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই চুক্তিতে জুড়ে দেওয়া আছে বিশেষ একটি শর্ত- চাইলেই প্রতি মৌসুমের শেষে বিনামূল্যে ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে পারবেন তিনি। তবে শর্ত কার্যকর করতে হলে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকাকে।

আরও পড়ুন- গার্দিওলার সঙ্গে আলোচনা করেই মেসির বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত!

গতকাল মঙ্গলবার বুরোফ্যাক্সের (প্রত্যয়িত পত্র) মাধ্যমে ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার কথা বার্সা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন মেসি। চুক্তির ওই বিশেষ ধারা কার্যকর করে মুফতে ক্লাব ছাড়তে চাইছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি অবশ্য জানিয়েছে, মেসির প্রস্থানের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে আইনি জটিলতা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমেও গুঞ্জন চলছে, বিষয়টি গড়াতে পারে আদালতে।

আরও পড়ুন- দল ছাড়তে চাওয়ার কথা বার্সেলোনাকে জানিয়ে দিলেন মেসি!

কারণ, বার্সা বোর্ডের দাবি, চুক্তির ওই শর্ত অনুসারে গেল ১০ জুনের মধ্যে মেসিকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হতো। তখন বিনামূল্যে তাকে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হতো। কিন্তু আরও অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে সেই সময়। তাই চুক্তির ওই ধারা এখন আর কার্যকর হবে না বলে মত দিয়েছেন স্প্যানিশ ক্লাবটির কর্মকর্তারা।

তবে মেসি ও তার আইনজীবীরা মনে করছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘায়িত হয়েছে। তাই বিশেষ শর্তটি মেয়াদও বাড়বে। অর্থাৎ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা কার্যকর করা যাবে। আর মেসি যেহেতু এই সময়ের আগেই তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন, সেহেতু বার্সা ছাড়তে তার কোনো বাধা নেই।

আরও পড়ুন-  'এমএসএন' ত্রয়ীকে দেখা যেতে পারে পিএসজিতে

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গুঞ্জন সত্যি করে শেষ পর্যন্ত মেসি আর বার্সা আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা!

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago