বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদানের বিষয় বিবেচনার সুযোগ আছে: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে প্রতি তিন থেকে চার মাস পর টিকফার ইন্টারসেশনাল সভা করার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
BD and USA Flag-1.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে প্রতি তিন থেকে চার মাস পর টিকফার ইন্টারসেশনাল সভা করার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

করোনাকালে যে সব মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে, সে সব প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠানো হলে এ বিষয়ে মার্কিন সরকার সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে।

আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের স্থগিতকৃত জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বে ঘোষিত বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন জিএসপি সুবিধা প্রদান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে, পরবর্তী প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদানের বিষয় বিবেচনা করার সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা)’ এর ইন্টারসেশনাল সভা গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউ এস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া ক্রিস উইলসনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ প্রোডাক্ট রপ্তানি, করোনাকালে তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল না করা, ভেকসিনসহ অন্যান্য মেডিকেল সামগ্রী উৎপাদন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্প কারখানা বাংলাদেশে রিলোকেশন, কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের তৈরি পণ্য সহজে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির বিষয়ে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা কামনা করে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশে ঘোষিত সুযোগ-সুবিধাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা নিরসনে আলোচনা অব্যাহত রাখার পক্ষে মতামত প্রকাশ করে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির জটিলতা নিরসন, ই-ওয়াস্ট রেগুলেশন সংশোধন, দেশের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য চালু, বিভিন্ন মার্কিন পণ্য আমদানি শুল্ক কমানোসহ বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং বিশ্বমানের রপ্তানি পণ্য তুলনামূলক কম মূল্যে সরবরাহ করতে সক্ষম বলে সভায় জানানো হয়।

উল্লেখ্য, টিকফার ষষ্ঠ সভা যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago