বন্দুকযুদ্ধের নামে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ ওসি প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে
'বন্দুকযুদ্ধে' প্রবাসী মাহামুদুল হক নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড অভিযোগ এনে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আদালত এজাহারের প্রাথমিক শুনানি শেষে ‘বন্দুকযুদ্ধে' মাহামুদুল হক নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানায় করা মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন জমার আদেশ দিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ২টায় কক্সবাজার জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
বাদী হয়ে এই এজাহারটি করেন নিহত মাহামুদুল হকের ভাই টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার নুরুল হোছাইন (৪৫)।
এজাহারে অভিযুক্তদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ ১৬ জন পুলিশ সদস্য। অন্যান্যরা চৌকিদারসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই দীপক বিশ্বাস, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই জামসেদ আহমদ, পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম এস দোহা, এসআই দীপংকর কর্মকার, এএসআই হিল্লোল বড়ুয়া, এএসআই ফরহাদ হোসেন, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই সনজিৎ দত্ত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব, ড্রাইভার জহির, কনস্টেবল হৃদয়, এপিবিএনের কনস্টেবল সৈকত, কনস্টেবল প্রসেনজিৎ, কনস্টেবল উদয়, হ্নীলা সিকদার পাড়ার নুরুল আমিন প্রকাশ নুরুল্লাহ দফাদার, একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, নাটমুরা পাড়ার নুরুল হোছাইন, সিকদার পাড়ার ভূট্টো, আনোয়ারুল ইসলাম ননাইয়া, পূর্ব পানখালীর নুরুল আলম ও নুরুল আমিন।
এজাহারে বলা হয়েছে, প্রবাস থেকে ফেরার পর পুলিশ তার ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তার ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫ লাখ টাকা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলেও ৩১ মার্চ তার ভাইকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. কাসেম আলী জানান, এজাহারটি পর্যালোচনা করে আদালত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর এই বন্দুকযুদ্ধ সংক্রান্ত টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসিকে।
বাদী নুরুল হোছাইন জানান, 'আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন সময় কোন মামলা ছিল না। পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। জীবনের নিরাপত্তার কারণে এতদিন মামলা করার সুযোগ ছিল না। এখন সুযোগ হয়েছে তাই মামলা করেছি।'
Comments