মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড

এপিবিএন কনস্টেবলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় র‌্যাবের হেফাজতে সাত দিনের রিমান্ডে থাকা অভিযুক্ত আসামি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল আবদুল্লাহ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বুধবার কক্সবাজার জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহ’র খাস কামরায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ওই জবানবন্দি দেন কনস্টেবল আবদুল্লাহ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল বিকেল সাড়ে ৪টায় এপিবিএনের এ সদস্যকে আদালতে হাজির করে। এরপর তাকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। সেখানে টানা প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তার দেওয়া জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন বিচারক।

রাত সাড়ে ৮টায় তাকে আদালত থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

এই আসামির জবানবন্দি প্রদানের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

কিন্তু আদালতের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এপিবিএন সদস্য আব্দুল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাজাহান, কনস্টেবল সজীব ও আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেন। ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় এই তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। একইদিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

কক্সবাজার জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২২ আগস্ট তাদের তিন জনকে জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্ট।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ ১৭ আগস্ট কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তিন এপিবিএন সদস্যকে আটকের বিষয়টি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘সিনহা নিহত হওয়ার সময় গত ৩১ জুলাই রাতে তারা এপিবিএনের শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন।’

আরও পড়ুন:

এপিবিএন’র ৩ সদস্যকে হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাব

Comments

The Daily Star  | English

Awami League should be punished as a party: Fakhrul

He made the remarks after visiting a BNP man undergoing treatment at National Institute of Neurosciences and Hospital

57m ago