করোনার ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গ্রেপ্তার

অর্থের বিনিময়ে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই চাহিদা অনুযায়ী কোভিড-১৯ পজিটিভ ও নেগেটিভ সনদ দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ভবনের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মাহফুজুর রহমানকে আটক করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
কুষ্টিয়া
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

অর্থের বিনিময়ে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই চাহিদা অনুযায়ী কোভিড-১৯ পজিটিভ ও নেগেটিভ সনদ দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ভবনের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মাহফুজুর রহমানকে আটক করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাহফুজুর রহমান কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব সনদের ফরমেট ব্যবহার করে ভুয়া সনদ দিয়ে আসছিলেন। গতকাল বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কক্ষ থেকে জাল সনদপত্রসহ কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ও পেন ড্রাইভ জব্দ করা হয়।’

এ ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজুর রহমান ভুয়া সনদ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি প্রতি সনদের জন্য দুই হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন বলে জানিয়েছেন।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আক্তার বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী উপজেলায় সংগৃহীত প্রতিদিনের নমুনা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফলাফল তৈরি ও ঘোষণা করা হয়। এখানে অভিযুক্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হোক বা না হোক— টাকা বিনিময়ে ভুয়া সনদ দিয়ে আসছিলেন।’

এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আইনগতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago