মৃত্যু ৮ লাখ ৩০ হাজার, আক্রান্ত ২ কোটি সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি
বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে আট লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন এক কোটি ৫৯ লাখের বেশি মানুষ।
আজ শুক্রবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯৭ জন এবং মারা গেছেন আট লাখ ৩০ হাজার ৫১৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ১৯ জন।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৮০ হাজার ৮১৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ২১ লাখ এক হাজার ৩২৬ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৯১ জন, মারা গেছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৬৪৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩১ লাখ ২২ হাজার ৮৪৬ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ৫৯৪ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৫৩২ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থতে থাকা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫৬৪ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩২ হাজার ৫০৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৪ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ১০ হাজার ২৩৪ জন, মারা গেছেন ৬০ হাজার ৪৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৭১ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, কলম্বিয়া ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ৭২ হাজার ৯৭২ জন, মারা গেছেন ১৬ হাজার ৭৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৯০ হাজার ৬২৯ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১৮ হাজার ২৮৬ জন, মারা গেছেন ১৩ হাজার ৬২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৮ জন।
পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১৩ হাজার ৩৭৮ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ১২৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ২১ হাজার ৮৭৭ জন। কলম্বিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ৯৯৫ জন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ৪৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ১৭ হাজার ৪৮১ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ চার হাজার ১০২ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৬ জন, মারা গেছেন ২১ হাজার ১৩৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ১৬ হাজার ৬৩৮ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৮ জন, মারা গেছেন ছয় হাজার ২০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৭৯২ জন।
ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ২৯ হাজার ৫০৭ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৯৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৬৩ হাজার ৯৪৯ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৪৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৫৫৪ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৫ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৫৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৬ হাজার ২৭১ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৫৭১ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২৯০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ৯০৯ জন।
ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮১৪ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৭১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৩৫ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন লাখ চার হাজার ৫৮৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন চার হাজার ১২৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জন।
Comments