করোনার বন্ধে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়েছে শাবক-ছানার সংখ্যা
করোনা মহামারির কারণে সরকার দীর্ঘ ছুটি ঘোষণা করায় অন্যান্য সব কিছুর মতো বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাও। কোনো দর্শনার্থীর ভিড় না থাকায় তা আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এই চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর জন্য। গত দুই মাসে বাঘ, হরিণ ও ময়ূরসহ চিড়িয়াখানাটির বিভিন্ন প্রাণী অন্তত ৫০টি শাবক-ছানার জন্ম দিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিড়িয়াখানাটি বন্ধ থাকায় দীর্ঘসময় ধরে বিশৃঙ্খলা মুক্ত পরিবেশ পেয়েছে প্রাণীগুলো। তাই বেড়েছে জন্মহার।
মহামারিকালীন বন্ধে চিড়িয়াখানাটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
সদ্যজাত অতিথিদের মধ্যে একটি বাঘের শাবক, চারটি হরিণ শাবক, চারটি ময়ূর ছানা, ১০টি প্যারাকিট ছানা, দুটি বানর, সাতটি ইন্দোনেশিয়ান মুরগির ছানা ও বিভিন্ন প্রজাতির ২০টি ঘুঘু ছানার জন্ম হয়েছে।
এছাড়াও, খুব শীঘ্রই জেব্রা, ঘোড়া, হরিণ ও কোকিলসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রাণী ও পাখির শাবক-ছানাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার চিকিত্সক ও ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউনে প্রাণীগুলোর অভ্যাস বদলেছে। দর্শনার্থী না থাকায় এই প্রাণীগুলো প্রজননের অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে।’
সোসাইটি অব রাইজ ফর প্যাভস অ্যান্ড ক্লজের প্রতিষ্ঠাতা তিশা ভট্টাচার্য্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চিড়িয়াখানার দর্শক সংখ্যা এখন সীমিত করা উচিত। কারণ বেশ কয়েকটি প্রাণী এখনও তাদের বাচ্চা প্রসব করেনি। ভিড় বাড়লে তাদের জন্যে সমস্যা তৈরি হতে পারে।’
চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই প্রাণীগুলো চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারপরেও নিশ্চিত করা হচ্ছে, শাবক-ছানা জন্মকালে কোনো দর্শনার্থী যেন তাদের বিরক্ত না করেন।’
তিনি জানান, চিড়িয়াখানার নতুন এই অতিথিদের অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য তারা বাজেট বাড়াচ্ছেন।
চট্টগ্রামে ফয়েস লেক এলাকায় ছয় একর জমির ওপর ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চিড়িয়াখানাটিতে বর্তমানে ৬২০টি প্রাণী ও ৬৬ প্রজাতির পাখি রয়েছে।
Comments