সিনহা হত্যা মামলা

পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ও টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার তিন সাক্ষীকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ও টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার তিন সাক্ষীকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজার সদর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কারাগার থেকে এই তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যায়।

আসামিরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরস্থ মেরিন ড্রাইভ সড়কে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিত বাদী হয়ে গত ১ আগস্ট টেকনাফ থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এই তিন জনকে সাক্ষী করা হয়।

সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা হত্যা মামলার এই তিন আসামিকে গত ১৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের কারাগার থেকে নিয়ে আসার পর বেলা পৌনে ১২টায় নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন-১৫ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।’

এই হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি সাময়িক বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও  উপ-পরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে বর্তমানে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‍্যাব।

আদালতের আদেশে গতকাল এই তিন আসামিকে তৃতীয় দফায় তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago