বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে মহাপরিকল্পনার নির্দেশনা দিলেন রেলমন্ত্রী
সীমান্তবর্তী চার দেশের মধ্যে বাণিজ্য গতিশীল করতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহলসহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে ‘অনেক সম্ভাবনাময়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই বন্দরের ভৌগলিক অবস্থানগত বিশেষ সুবিধা রয়েছে, তাই এই বন্দরকে কাজে লাগিয়ে আন্তঃদেশীয় সংযোগ জোরদারের পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম সহজেই গতিশীল করা সম্ভব একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে।’
তিনি জানান, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্যিক গতি বৃদ্ধি পাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তার মতে, ‘চতুর্দেশীয় বাণিজ্য কার্যক্রম শুধুমাত্র দেশের এই স্থলবন্দর দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এই বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন।’
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সিএন্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা।
Comments