‘মৃত’ কিশোরী জীবিত উদ্ধার: অভিযুক্ত এসআই সাময়িক বরখাস্ত, মামলার প্রক্রিয়া শুরু

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে তিন আসামি স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর কিশোরী জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ক্লোজড হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম। একই সঙ্গে এসআই শামীমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি আসামিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে, গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। কমিটি গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে জমা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি বলেছে, এস আই শামীম আল মামুনের কার্যক্রমে অপেশাদারত্বের প্রাথমিক ছাপ আমরা পেয়েছি। আমাদের চাকুরিতে এটি অসদাচরনের সামিল। ফলে গত বৃহষ্পতিবার সন্ধায় তাকে সাময়িক চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং বিভাগীয় মামলার জন্য প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।’

একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ওসি এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের  জবাবে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা যে বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখেছি প্রকৃত অভিযোগ ছিল আসামিদের কাছ থেকে সুবিধা লাভ করা। সে বিষয়ে আমরা তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীমের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে এবং তখন জানা যাবে যে এখানে আর কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা।’

গত ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার মধ্যে একটি মামলার তৎকালীন কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে রিমান্ডে নিয়ে মারধর ও অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে আর অন্যটি মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য। পরে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ আগস্ট এসআই শামীমকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়।

আরও পড়ুন- 

নারায়ণগঞ্জে ‘হত্যার শিকার’ কিশোরী জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

‘হত্যার শিকার’ কিশোরী জীবিত উদ্ধার: নারায়ণগঞ্জে ওসি-এসআইকে আদালতে কারণ দর্শানোর আদেশ

‘হত্যার শিকার’ কিশোরী জীবিত উদ্ধার: ৩ আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

53m ago