এত টাকা খরচ করে মেসিকে কিনবে না ম্যানসিটি!
৭০০ মিলিয়ন ইউরো। এতো টাকা খরচ করে লিওনেল মেসিকে কেনার সাধ্য কার? তবে গত কয়েক দিনে গুঞ্জন ছিল, এ পরিমাণ অর্থ খরচ করে মেসিকে কেনার সামর্থ্য রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির। কিনতেও চায় তারা। কিন্তু স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দিপোর্তিভো জানিয়েছে ভিন্ন কথা। এ মুহূর্তে টাকা খরচ করে মেসিকে কেনা ক্লাবটির জন্য অসম্ভব।
এইতো কয়েক মাস আগেই ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে নিষেধাজ্ঞার ফাঁড়া কাটিয়েছে সিটি। উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স ও ফেয়ার প্লে নীতির ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ করায় দুই বছরের জন্য তাদের নিষিদ্ধ করেছিল ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে পরে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন অব স্পোর্টসে (সিএএস) আবেদন করে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দিয়ে সে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হয় ক্লাবটি। তাই এ সময়ে বড় কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় সিটিজেনরা।
মেসিকে যদি টাকা খরচ করেই নিতে হয়, সেক্ষেত্রে কম করে হলেও দুই থেকে আড়াই শত মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে সিটিকে। কারণ আগেই জানা গেছে রিলিজ ক্লজে ছাড় দিলেও এর কমে তাকে বিক্রি করবে না বার্সা। আর বার্সেলোনায় মেসির বেতনও চড়া। সবমিলিয়ে বছরে প্রায় একশ মিলিয়ন ইউরো। তাই এ মুহূর্তে মেসিকে কেনা মানে ফের উয়েফার ফেয়ার প্লে নীতি ভঙ্গের কারণ হয়ে ওঠা। যে কারণে গার্দিওলা মেসিকে বার্সেলোনাতেই থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্লাবটির আয় কমিয়েছে অনেকাংশে। ফুটবল মাঠে ফিরলেও এখনও সমর্থকরা মাঠে ঢোকার অনুমতি পাননি। সহসা মিলবে বলেও মনে হচ্ছে না। তাই সবমিলিয়ে গার্দিওলা আপাতত মেসিকে কেনার পক্ষে নন বলেই জানিয়েছে মুন্দো। তবে বিনে পয়সায় অর্থাৎ ফ্রি ট্রান্সফারে মেসিকে পেলে তাকে দলে নিতে আপত্তি নেই ক্লাবটির।
মৌসুম শেষ হওয়ার পর ছুটি কাটাতে নিজ বাসভূমি বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ছুটি শেষে আগের দিন ইংল্যান্ডে ফিরেছেন এ কোচ। এল প্রাত বিমানবন্দরে তার সহকারী হুয়ানমা লিলোর সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাকে। টিভি ক্যামেরাও তাদের বন্দি করেছে। তবে এ সফরে মেসির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও কাতালুনিয়া রেডিও জানিয়েছিল, বার্সা কর্তৃপক্ষকে বুরোফ্যাক্স পাঠানোর আগেই মুঠোফোনে কথা হয়েছে মেসি ও গার্দিওলার।
Comments