মেসিকে বিনামূল্যে ছাড়লে জেল হতে পারে বার্তোমেউর

বিবিসি ফাইভ রেডিওর লাইভ অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করেছেন স্প্যানিশ ক্রীড়া সাংবাদিক গুইলেম বালাগ।
messi and bartomeu
ফাইল ছবি: এএফপি

সম্ভাবনাটা ক্ষীণ, তবে অসম্ভব নয়। লিওনেল মেসিকে বিনে পয়সায় ছেড়ে দিলে জেলে যেতে হতে পারে বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউকে! বিবিসি ফাইভ রেডিওর লাইভ অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করেছেন স্প্যানিশ ক্রীড়া সাংবাদিক গুইলেম বালাগ। পরে এ নিয়ে টুইটও করেছেন তিনি।

২০ বছরের বন্ধন ছিঁড়ে বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন মেসি। আর সিদ্ধান্তে যে তিনি অটল তা করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও অনুশীলনে অংশ না দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে তাকে ছাড়তে রাজি নয় বার্সেলোনা। এমনকি এ প্রসঙ্গে কোনো আলোচনাও করতে রাজি নন বার্সা সভাপতি। যদিও আগামীকাল বুধবার মেসির বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, সেখানে অবশ্য মেসিকে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়নের কথাই বলবেন বার্তোমেউ।

ফুটবল মহলে ঘুরে ফিরে একটি আলোচনাই হচ্ছে, ক্লাব ছাড়তে চাইলেও কেন মেসিকে জোর করে আটকে রাখতে চাইছেন বার্তোমেউ? সমর্থকরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।

রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির বিশ্বাস, বার্সার সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। যেহেতু তার চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে, চাইলেই শেষ মৌসুমে বিনা রিলিজ ক্লজে দল ছাড়তে পারবেন। আর সে সুযোগটাই নিতে চাইছেন তিনি। আর শেষ পর্যন্ত যদি আর্জেন্টাইন তারকার দাবি টিকে যায়, তাহলে বড় ধরনের ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন বার্তোমেউ।

কেন পড়তে পারেন তার কারণ দেখিয়ে বালাগ বলেছেন, 'বার্তো তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুযোগ দিতে চাইবে না। যদি মেসিকে বিনে পয়সায় ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অথবা পুরো মৌসুমের টিকেট ক্রেতারা সম্পদের অপব্যবহারের মামলা করে দিতে পারবেন (বার্তোমেউর বিরুদ্ধে)। এমনটা হলে তাকে বিশাল অঙ্কের অর্থ নিজের পকেট থেকে দিতে হবে অথবা জেলেও যেতে হতে পারে। আর এ কারণেই তিনি মেসিকে আটকে রাখতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।'

প্রেসিডেন্ট পদে আগামী বছরই বার্তোমেউর মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং মার্চের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলেই জানা গেছে।

তবে একটি বিকল্প রয়েছে বার্তোমেউর। সেটা হচ্ছে আগামীকালের সভায় মেসির বাবাকে বুঝিয়ে রাজি করানো। এটাকে প্ল্যান বি উল্লেখ করে বালাগ আরও বলেছেন, 'প্ল্যান বি হচ্ছে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অন্তত কোর্টে নিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে ক্রীড়া আদালতে তার বয়স, চুক্তির মেয়াদ ও ক্লাবের ক্ষতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাহলে সিটিও (ইন্টার/জুভেন্টাস) তাকে সাইন করানোর চিন্তা করবে না। কারণ এমন ক্ষেত্রে মামলার নিষ্পত্তি হওয়া অনিশ্চিত।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago